এবার উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান শাবির ছাত্রীদের

এবার উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান শাবির ছাত্রীদের

বেগম সিরাজজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞা্ন ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) আবাসিক ছাত্রীরা।

শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রীরা। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদও নিজ কার্যালয়ে রয়েছেন। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি- প্র্রধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজাও সহকারী প্র্রধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যস্থপনা নির্মূল করা এবং হলের স্বাভাবিক সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা, অবিলম্বে ছাত্রীবান্ধব এবং দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগ দেয়া।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) মধ্যরাতে হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো বিক্ষোভ বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের শিক্ষার্থীরা।

এসময় সহকারী প্রধ্যক্ষরা এসে শিক্ষার্থীদের হলে ফিরে যেতে বললেও তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান। পরে রাত আড়াইটার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেন। এসময় ছাত্রীরা আজ দুপুর ১২টার মধ্যে দাবি মেনে নেয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে হলে ফিরে যান।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আগে থেকেই হল কর্তৃপক্ষের কাছে ডাবলিং নিষিদ্ধ করা, গণরুম না রাখা, অভিভাবকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া, খাবারের মান উন্নত করাসহ বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করে আসছিলেন হলের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার হল প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদকে দাবির বিষয়ে ফোন দিলে তিনি শিক্ষার্থীদের হল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এরপর প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন ছাত্রীরা।

এ বিষয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও দাবিদাওয়া নিয়ে আমি তাদের সাথে কথা বলছি। তবে একদিনের সব দাবি পুরণ সম্ভব নয়।

এদিকে দাবির কারণ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে বলেন, ছোট বড় সমস্যাতেই প্রভোস্ট কোন দায়িত্ব নিতে চাননা,বরং সমস্যা উত্থাপনের প্রক্ষিতে অশোভন আচরণ করা, এরূপ আচরণ দিন দিন বেড়েই চলছে। সমস্যা নিয়ে হলে গেলেই সিট ক্যান্সেল করে দেওয়ার হুমকি দেয়া। হলের ইস্যু নিয়ে পরিবারের আর্থসামাজিক বিষয় এবং ডিপার্টমেন্টে হয়রানি করা হয়। অবিলম্বে ছাত্রীবান্ধব এবং দায়িত্বশীল প্রভোস্ট কমিটি নিয়োগ দিতে হবে এবং নতুন প্রভোস্ট কমিটি নিয়োগ দিয়ে সকল অব্যবস্থাপনার দ্রুত সমাধান করতে হবে।