জুম্মার দিনের ফজিলত ... 

জুম্মার দিনের ফজিলত ... 

শুক্রবার বা জুম্মার দিন। সাপ্তাহিক ঈদের দিন। মুসলমানদের জন্য এটি একটি মহান দিন। ইসলামে এ বারের গুরুত্ব অনেক। দিনটিকে ‘ইয়াওমুল জুমা’ বলা হয়। আমাদের রব পৃথিবীকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। শেষ দিন ছিল জুম্মার দিন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, সূর্য উদিত হয় এরূপ দিনগুলোর মধ্যে জুমা’র দিনটিই হল সর্বোত্তম দিন। এই দিনেই আদম( আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছিলো। (আবু দাউদ:১০৪৬)

এই দিনেই কেয়ামতের জন্য শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। (আবু দাউদ: ১০৪৭)। এই দিনেই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (আবু দাউদ: ১০৪৬)। আর এই দিনে সকলেই বেহুঁশ হয়ে যাবে। (আবু দাউদ: ১০৪৭)

বর্ণীত আছে যে, ‘জান্নাতে প্রতি জুমা’র দিনে জান্নাতিদের হাঁট বসবে। জান্নাতি লোকেরা সেখানে প্রতি সপ্তাহে একত্রিত হবেন। তখন সেখানে এমন মনোমুগ্ধকর হাওয়া বইবে, যে হাওয়ায় জান্নাতিদের সৌন্দর্য অনেক গুণে বেড়ে যাবে এবং তাদের স্ত্রীরা তা দেখে অভিভূত হবে। অনুরূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি স্ত্রীদের বেলায়ও হবে।’ (মুসলিম:২৮৩৩)

নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ, আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত ও সমুদ্র সবই জুমা’র দিনে শঙ্কিত হয়। (ইবনে মাজাহ:১০৮৪)

হজরত আউস ইবনে আউস (রা.) বলেন, ‘রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি জুমার দিনে ভালোভাবে গোসল করবে, সকাল সকাল প্রস্তুত হয়ে হেঁটে মসজিদে গমন করে ইমাম সাহেবের কাছে বসবে এবং মনযোগী হয়ে তার খুতবা শ্রবণ করবে ও অনর্থক কর্ম থেকে বিরত থাকবে, তার প্রত্যেক কদমে এক বছরের নফল রোজা এবং এক বছরের নফল নামাজের সওয়াব আল্লাহপাক তাকে দান করবেন।’ (নাসাঈ শরিফ ১৫৫)

এই দিনের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে, যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। জুমা’র দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর জায়গা থেকে না উঠে ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে। দোয়াটি হলো: ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম তসলিমা’।

উপরোক্ত হাদিসগুলোর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জুমার দিনে সব মুসলমানের জন্য কর্তব্য হচ্ছে যে, সব ব্যস্ততা ত্যাগ করে আজানের পূর্বেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে মসজিদে গমন করা, ইমামের খুতবা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করা, খুতবা চলাকালীন কথাবার্তা বলা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা।