নাসা’র চ্যালেঞ্জে রানার্সআপ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি

নাসা’র চ্যালেঞ্জে রানার্সআপ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি

রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ন্যাশনাল হ্যাকাথনে নিজ বিভাগে দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির টিম ‘পপিন’। সিলেটের শীর্ষস্থানীয় এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী ছিলেন এই টিমে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ৩১৩টি শহরে ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২’ বাস্তবায়ন করেছে। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

সারাদেশ থেকে দুই হাজারেরও বেশি প্রতিযোগি এবার অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে মহাকাশের বিভিন্ন সমস্যা, জলবায়ু, চাঁদ, গ্রহ, নক্ষত্রসহ ১৪টি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিদের শীর্ষ ১১০টি প্রকল্প বাছাই করা হয়। এগুলো থেকে শীর্ষ ৫০টি প্রকল্প নিয়ে ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-তে সরাসরি এবং বাকি ৬০টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইনে হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়।

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির টিম ‘পপিন’-এ ছিলেন টিম ক্যাপ্টেন ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম সিফাত ইকবাল, টিম কো-অর্ডিনেটর ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ,  টিম সদস্য বিবিএ’র শিক্ষার্থী সৈয়দা নওশীন ও সৈয়দা ফারহিন এবং সিএসই’র শিক্ষার্থী মাহিন চৌধুরী নাবিল। প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ৫০-এ ছিল টিম ‘পপিন’-এর উদ্ভাবনী প্রকল্প। এই টিম প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান, রসদ পৌঁছানো ও উদ্ধার সংক্রান্ত বিষয়ে ‘সাসটেইনেবল টেলিমেডিসিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ মডেল উপস্থাপন করে। প্রকল্পটি বিচারকদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিজ বিভাগে দ্বিতীয় রানার্সআপ পুরস্কার অর্জন করে। উপস্থাপিত প্রকল্পটি নাসা’র কাছেও প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে, নাসা’র চ্যালেঞ্জে রানার্সআপ হওয়ায় টিম ‘পপিন’কে অভিনন্দন জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী। অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রতিযোগিতা খুবই মর্যাদাপূর্ণ। গোটা বিশ্বে এই প্রতিযোগিতা সমাদৃত। সেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা যে সফলতা অর্জন করেছে, তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এইসব শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ায় নেতৃত্ব দেবে ইনশা আল্লাহ!’