পারাবত ট্রেনের পাওয়ার কার ছিল ‘মেয়াদোত্তীর্ণ’

পারাবত ট্রেনের পাওয়ার কার ছিল ‘মেয়াদোত্তীর্ণ’

অগ্নিকাণ্ডের শিকার পারাবত এক্সপ্রেসের পাওয়ার কারের স্বাভাবিক চলাচলের মেয়াদ ছিল না। লোকোশেডে থাকার কথা থাকলেও সেটি চালানো হচ্ছিল মেরামত করে। ফলে টানা সার্ভিস দিতে গিয়ে পাওয়ার কারটিতে আগুন লাগে। রেলওয়ে বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

রেলওয়ে সূত্র বলছে, আমদানির পর ২০১৭ সালে পাওয়ার কারটি চলাচলের ট্রেনে জন্য সংযুক্ত করা হয়। একটি পাওয়ার কার সর্বোচ্চ ২০ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত স্বভাবিক সার্ভিস দিতে পারে। সেই হিসাবে পারাবত ট্রেনের পাওয়ার কারটি লোকোশেডে ফেরতযোগ্য।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অজয় কুমার পোদ্দার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমদানি করার পর যে কোনো পাওয়ার কার রেলওয়েতে যুক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ ২০ হাজার ঘন্টা পর্যন্ত স্বভাবিক সার্ভিস দিতে পারে।’

রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আন্তনগর ট্রেন প্রতিদিন আপ অ্যান্ড ডাউনে চলাচল করে। সেই হিসেবে প্রতিটি পাওয়ার কার সপ্তাহে ৬ দিন ১৪ ঘন্টা করে সার্ভিস দেয়। আর বর্তমানে প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। ফলে একটি পাওয়ার কার ২০ হাজার ঘন্টাও চলার কথা নয়।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমানঘাঁটি এলাকায় ‘পারাবাত এক্সপ্রেস’ ট্রেনের পাওয়ার কারে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চারটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় জোনের চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অজয় কুমার পোদ্দার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘পারাবত ট্রেনে যুক্ত পাওয়ার কারটি ২০১৬-১৭ সালের দিকে আমদানি করা। সেদিক থেকে ২০২১ সালেই এটি লোকোশেডে ফেরত যাওয়ার কথা ছিল।’