বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে; আশাবাদী যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে; আশাবাদী  যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ। তিনি বলেছেন, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও ক্ষমতার পালাবদলও স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে বলে তিনি আশাবাদী।

বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আইওআরএর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে তারিক আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন নিয়ে এই আশাবাদের কথা জানান।

আইওআরএর বৈঠকে অংশ নিতে তারিক আহমেদ গত সোমবার তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন। সফরের শুরুতে তিনি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আলোচনায় অংশ নেন। ওই আলোচনায় বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে কিংবা নির্বাচনে সব দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’র বিষয়ে কোনো সংশয় আছে কি না, জানতে চাইলে তারিক আহমেদ বলেন, যেকোনো নির্বাচন স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলকভাবে হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ, যা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। নির্বাচন এভাবে হলে জনগণের ভোটাধিকারচর্চার ক্ষেত্রে পছন্দের সুযোগটা বেশি থাকে। বিশেষ করে যোগ্যতার মাপকাঠিতে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটাভুটির প্রশ্ন যখন সামনে আসে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে বাংলাদেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো বর্তমান সরকারের সঙ্গেও আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো, সমাজসহ নানা ক্ষেত্রে বিকাশে ভূমিকা রাখার জন্যও আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে গঠনমূলকভাবে কাজ করছি।’

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে তারিক আহমেদ বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে সব দল যাতে অবাধে নির্বাচনী প্রচারণায় ও ভোটদান প্রক্রিয়ায়ও অংশ নিতে পারে। অতীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতার পালাবদল দেখেছি। আশা করছি, ভবিষ্যতেও ক্ষমতার পালাবদল স্বচ্ছতার সঙ্গেই হবে।’

জাতীয় নিবাচন সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায়ের চলমান নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করেন, জানতে চাইলে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সরকারে থাকলে বিরোধী দলের কাছ থেকেই চ্যালেঞ্জটা আসে। বিকশিত গণতন্ত্র শুধু দায়িত্বশীল সরকারের মাপকাঠি দিয়েই হয় না। সরকার অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার বিকাশ ও কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার এসব পূর্বশর্ত পূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করছে যুক্তরাজ্য। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষা করা যুক্তরাজ্যের অন্যতম অগ্রাধিকার। বহুমতের চর্চা ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সামর্থ্য বাড়ানো, সব দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি—ই সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ।

তারিক আহমেদ বলেন, ‘এটা মনে করার কারণ নেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাজ্য হস্তক্ষেপ করছে। নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে এটা বলা।’ সুত্র- প্রথমআলো অনলাইন ভার্সন