রক্তদান নিয়ে ভীতি দূর করতে ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান’ কর্মসূচি

রক্তদান নিয়ে ভীতি দূর করতে ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান’ কর্মসূচি

একটি টেবিলের সঙ্গে আরেকটি টেবিল পরপর সাজিয়ে তার উপরে তোশক আর সাদা চাদর বিছিয়ে তৈরি করা হয়েছে খাট। সেই খাটে শুয়ে বিভিন্ন রক্তের গ্রুপের মানুষেরা স্বেচ্ছায় দিয়ে যাচ্ছেন রক্ত। এর পাশেই রক্তদানের অনুভূতি লেখার জন্য রাখা হয়েছে সাদা বোর্ড। চিরকুটে প্রথমবারের মতো রক্তদানের অভিজ্ঞতা লিখে সে-বোর্ডে আটকে দিচ্ছেন রক্তদাতাদের কেউ কেউ। 

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এমন দৃশ্যের দেখা মিলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি)। মানুষকে রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করতে এবং রক্তদানে আগ্রহী করে তুলতে দিনব্যাপী এই ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান’ কর্মসূচির আয়োজন করে শাবিপ্রবি’র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’। কিনের এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখার রক্তদান ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সংগঠন 'সন্ধানী'।

কিনের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে গিয়ে দেখা যায়, রক্ত দেওয়ার পরে চিরকুটে নিজের প্রথমবার রক্তদানের অভিজ্ঞতা লিখে সাদা বোর্ডে আটকে দিচ্ছেন এক শিক্ষার্থী। সেখানে লিখা, ‘প্রথমবার রক্ত দিলাম। শুরুতে ভয় পেলেও এখন দেখছি ভয়ের তেমন কারণ নেই। ভালো বোধ করছি।’ এর পাশেই আরেকটি চিরকুটে লেখা, ‘অনেক আগে থেকে রক্ত দেওয়ার ইচ্ছে ছিল, অবশেষে...!’ 

রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন বিষয়ে কথা হয় কিনের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল হুদার সঙ্গে। তিনি বলেন, যারা প্রথমবার রক্ত দিতে চান তাদের মধ্যে এক প্রকার ভীতি কাজ করে। এ ভীতি দূর করতে এবং মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে এই কর্মসূচি।  কর্মসূচি থেকে সংগৃহীত রক্ত মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে বলে প্রতিবেদককে জানান তিনি। 

এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিনের উপদেষ্টা ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক জায়েদা শারমিন বলেন, কিনের স্বেচ্ছাসেবীরা প্রতি বছরই ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির’ আয়োজন করে। শিক্ষার্থীদের মাঝে রক্ত দিয়ে মুমূর্ষু রোগীর পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা গড়ে তুলতেই তাদের এই আয়োজন।