শ্রীমঙ্গলে কোটি টাকার ভারতীয় চশমার চালান আটক

শ্রীমঙ্গলে কোটি টাকার ভারতীয় চশমার চালান আটক

শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ৯৪ লাখ ২৬ হাজার টাকার ভারতীয় চশমা ও সানগ্লাস আটক করেছে ডিবি পুলিশ। একই সাথে পুলিশ চোরাচালানী পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি পিকআপও জব্দ করা হয়। চশমাগুলো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসে চোরাকারবারির দল।

অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। তবে পণ্য পরিবহনকারী গাড়ি চালককে আটক করা হয়েছে। আটক গাড়ি চালকের নাম মো. শুভ (২০)। সে শ্রীমঙ্গলের বিরাইমপুর মতিগঞ্জ গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে।

শুক্রবার (৭ মে) বেলা দুইটার দিকে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারের অফিস প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য দেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশের ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চের (ডিবি) অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) বদিউজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান জানান, শুক্রবার (৭ মে) ভোর সাড়ে চারটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত এলাকার বিদ্যাবিলের মংলাম এলাকা থেকে ভারতীয় চশমা ও সানগ্লাস উদ্ধার করে। এ সময় শিববাড়ি বাজার পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে একটি পিকআপের গতিরোধ করে চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গাড়িতে থাকা ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা চোরাচালানের চশমা ও সানগ্লাসগুলো জব্দ করা হয়। ২১ বস্তায় ৯৩২ কার্টুনে ১৮ হাজার ৮৫২ পিছ চশমা ও গ্লাস রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও মিডিয়া) হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার বলেন, অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। তবে গাড়ি চালককে আটক করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে গাড়িচালক এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। যে মালামাল ও পিকআপ আটক করা হয়েছে তার বাজারমূল্য আনুমানিক ১ কোটি ২ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। আটক চালক এবং মালামাল কোর্টে চালান দেওয়া হবে। তার আগে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।’

প্রেস বিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও মিডিয়া) হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মুজাহিদুল ইসলাম, ডিআইও-১ মোহাম্মদ আবু তাহের, ডিবি পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) বদিউজ্জামান প্রমুখ।