সিলেটে সিরিজ ভূ-কম্পন

সহসাই খুলবে না ঝুঁকিপূর্ণ সব মার্কেট, পরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত

সহসাই খুলবে না ঝুঁকিপূর্ণ সব মার্কেট,  পরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত
নগরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসাবে চিহ্নিত ‘রাজা ম্যানশন’

সিলেটে ভূমিকম্প সচেতনতায় সাময়িক বন্ধ হওয়া সব মার্কেট ১০ দিন পরও খুলার সিদ্ধান্ত দিচ্ছেনা সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।

সিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশেষজ্ঞ টিম এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। পরীক্ষা ছাড়া কোন ভাবেই ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট বা ভবন ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবেনা।

১০ দিনের শেষদিন বুধবার (৯ জুন)। সে অনুযায়ী কাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা ২৪ ভবন ও মার্কেট খোলার কথা। তবে সোমবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় দুই দফা ভূমিকম্পে সে হিসেব পাল্টে এখন নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে কর্তৃপক্ষকে। তাই পরীক্ষা ছাড়া খোলার অনুমতি দিতে পারছে না সিসিক।

তবে বুধবার রাত ৮ টার দিকে জিন্দাবাজারস্থ রাজা ম্যানশন মার্কেটের কিছু দোকান খুলা থাকতে দেখা গেছে। এবিষয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, ‘আমরা সকল ভবন সংশ্লিষ্ট সকলকে চিঠি দিয়েছি। তাদের জানানো হয়েছে বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করে সে প্রতিবেদন আমাদের কাছে জমা দিতে। তাঁর পর আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম এটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন। কিন্তু পরীক্ষা ছাড়া কোন ভাবেই ঝুঁকিপূর্ণ এসব মার্কেট বা ভবন ব্যবহার করতে পারবেন না।’

প্রসঙ্গত- গত ২৯ মে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে সিলেট নগর।বার বার ভূমিকম্পে নড়েচড়ে বসেন নগর কর্তৃপক্ষ। সতর্কবার্তা হিসেবে পরবর্তী দশ দিন সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাই পরদিন ৩০ মে সিলেট নগরে ২৪ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে ১০ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নে নির্দেশনা দিলেও বাঁধ সাধে ৭ জুনের দুই দফা ভূমিকম্প।

নগরজুড়ে চিহ্নিত করা ২৪টি ভবনের মধ্যে সিটি সুপার মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেট, মিতালী ম্যানশন, সমবায় ভবন, রাজা ম্যানশন, সুরমা মার্কেট এবং জেমস গ্যালারি ভবন রয়েছে। এগুলো নগরীর প্রাচীনতম মার্কেট হিসেবেই পরিচিত।

এর সাথে আরও যেসব ভবনের নাম রয়েছে সেগুলো হলো- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশের কালেক্টরেট ভবন-৩, জেলরোডস্থ সমবায় ব্যাংক ভবন, একই এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন, দরগাগেইটের হোটেল আজমীর, টিলাগড় কালাশীলের মান্নান ভিউ, নগরের শেখঘাট এলাকায় শুভেচ্ছা-২২৬ নম্বর ভবন, যতরপুরের নবপুষ্প ২৬/এ বাসা, চৌকিদেখির ৫১/৩ সরকার ভবন, পুরানলেনের ৪/এ কিবরিয়া লজ, খারপাড়ার মিতালী-৭৪, মির্জাজাঙ্গাল মেঘনা এ-৩৯/২, পাঠানটুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাগবাড়ির একতা ৩৭৭/৭ ওয়ারিছ মঞ্জিল, একই এলাকার একতা ৩৭৭/৮ হোসেইন মঞ্জিল, একতা-৩৭৭/৯ শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, বনকলাপাড়া নূরানি-১৪, ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়ের পৌরবিপণী মার্কেট ও ধোপাদিঘীরপাড়ের পৌর শপিং সেন্টার।