সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সভা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সভা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে সিলেটে 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ধর্মীয় নেতাদের ভুমিকা' শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে সিলেট নগরীর রিকাবী বাজারস্হ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি এ সভা আয়োজন করে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোডেন বলেছেন, ১৯৭১ সালে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারন করে জাতিধর্মনির্বিশেষে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।

বর্তমানে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষপাপ ছড়িয়ে ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট ব্যাবহার করে দেশের শান্তি বিনষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছ। যা কিছুদিন আগে কুমিল্লায় ঘটেছিল বলে উল্লেখ করে তারা এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি দেশ ও ধর্ম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ধর্মীয় নেতাদের সজাগ ও সতর্ক আহবান জানান।

তিনি বর্তমান সরকারের টানা ১৩ বছরে সর্বক্ষেত্রে দেশের উন্নয় সমৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে আত্মমর্যাদাশীল প্রতিষ্ঠা পেয়েছে,যাহা আমাদের সকলের গর্বের বিষয়। ২০২১ সাল ছিল বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার অভূতপূর্ব স্বীকৃতির বছর। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্মশতবার্ষিকী 'মুজিববর্ষে' এই অর্জন বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের।

বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মাওলানা মঈনুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা মইনুল হক চৌধুরী, মাওলানা সুফিয়ান বিন এনাম, মাওলনা হারুন অর রশীদ মিরন, কবি মিম সুফিয়ান, মাওলানা বদরুজ্জামান, মাওলানা সাইফুল্লাহ সাদি, সিলেট বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুস্তাক আহমেদ, প্রিন্সিপাল মাওলানা মখলিসুর রহমান রাজাগঞ্জী, প্রিন্সিপাল মাওলানা আহমেদ কবির, মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, আন্তর্জাতিক হাফিজ কারি মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা মো. তোজাম্মেল হোসেন, মাওলানা মো. জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় সিলেট বিভাগের চার জেলা ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েকশতাধিক আলেম-উলামা,বিভিন্ন মদ্রাসাহ প্রধান, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবগন এসভায় উপস্হিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সেখানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।