সালমান শাহ হারানোর ২৫ বছর

সালমান শাহ হারানোর ২৫ বছর

২৫ বছর। সময়ের হিসেবে খুব কম নয়। তারপরও বাংলাদেশের মানুষ এখনো তাঁকে এতোটুকু ভোলেনি। এই ২০২১ সালেও দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল যে কোন উৎসব পার্বণে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র দেখায়। সিনেমা বিষয়ক যে কোন আলোচনা, প্রোগ্রাম কিংবা গানের অনুষ্ঠানে এক ঝলক হলেও তাঁর দেখা মেলে। 

অথচ নব্বইয়ের দশকের পরে যাদের জন্ম, তাদের কখনো সৌভাগ্য হয়নি হলে গিয়ে তাঁর সিনেমা দেখার। তারপরও স্মৃতিতে তিনি অমলিন। অনেকটাই ধূমকেতুর মতো বাংলা চলচ্চিত্রে তাঁর আবির্ভাব। মাত্র চার বছরের ছোট্ট ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ২৭টি সিনেমায়। মৌসুমী কিংবা শাবনূরের বিপরীতে নায়কের অভিনয় তাঁকে পৌঁছে দেয় খ্যাতির শীর্ষে।

সিলেটের এ কৃতিসন্তানের সাফল্যের চূড়ায় থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেন তিনি। তাঁর মৃত্যু শোক মেনে নিতে না পেরে ভক্তদের কয়েকজন আত্মাহুতিও দেন।

বরাবরই তাঁর মায়ের দাবি ছিল, ঢালিউডের ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ককে হত্যা করা হয়েছে। সন্দেহের তালিকায় বরাবরই একটি প্রভাবশালী মহল। বাদ যাননি জীবনের শুরুতেই যাকে বিয়ে করেছিলেন, তাঁর সেই ভালোবাসার মানুষটিও। যিনি এখন তাঁর স্মৃতি ভুলে তৃতীয় স্বামীর ঘর করছেন!

তবে তাঁকে হারিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এদেশের মানুষের। এরপর তাঁরা আর কারো মাঝেই নায়কের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পায়নি। তাই দেশের সিনেমা হলগুলো এখন অনেকটাই ফাঁকা পড়ে থাকে। হলের সংখ্যাও কমছে প্রতি বছরই। করোনাভাইরাস যা এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে।

বাংলা চলচ্চিত্রের এক হাহাকারের নাম সালমান শাহ। যাঁকে নিয়ে হয়তো আরো অনেক কিছুই লিখতে পারতাম। যেখানেই থাকেন, ভালো থাকবেন শৈশবের নায়ক!