সিটবেল্ট না পরে জরিমানার মুখে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী

সিটবেল্ট না পরে জরিমানার মুখে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী

গাড়িতে সিটবেল্ট না পরায় জরিমানার মুখে পড়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায় সুনাক চলন্ত গাড়িতে সিটবেল্ট ছাড়াই কথা বলছেন। এরপরই ল্যাঙ্কাশায়ার পুলিশ তাকে জরিমানা করলো। এর আগে যদিও বিষয়টির জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন সুনাক। 
স্কাই নিউজ জানিয়েছে, জরিমানার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। তার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি ভুল করেছেন এবং এ জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। 

শুক্রবার ল্যাঙ্কাশায়ার পুলিশ টুইটারে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ল্যাঙ্কাশায়ারে চলন্ত গাড়িতে এক ব্যক্তি সিটবেল্ট পরেননি। তাই শুক্রবার আমরা লন্ডনের ৪২ বছর বয়সি ব্যক্তিকে শর্তসাপেক্ষ নির্দিষ্ট শাস্তির প্রস্তাব দিয়েছি। টুইটে ঋষি সুনাকের পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। ঋষি সুনাক ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী যিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আইন ভঙ্গ করেছেন। এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও দায়িত্বে থাকার সময় আইন ভেঙেছিলেন। 

সুনাকের ওই ভিডিও সম্পর্কে তার মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণের জন্য সিটবেল্টটি খুলেছিলেন। তিনি নিজে স্বীকার করেছেন তা ভুল হয়েছিল।

মুখপাত্র আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, সকলের সিটবেল্ট পরা উচিত।

সুনাক দেশে একশোটিরও বেশি প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য তার সরকারের নতুন লেভেলিং আপ ফান্ড ঘোষণার প্রচার করার জন্য একটি ভিডিও করেন। চলন্ত গাড়ির পিছনের সিটে বসেই সেই ভিডিওটি করেন সুনাক। ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সময় সিটবেল্ট খুলে নেন। আর এ জন্যেই এবার তাকে জরিমানা দিতে হবে।