সিলেটে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ, ১০ জুন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

সিলেটে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ, ১০ জুন  উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

সরকার সিলেটে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো। ইসলামের ভ্রাতৃত্ব ও মূল্যবোধের প্রচার এবং উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের ‘প্রকৃত মর্মবাণী’ প্রচার করার লক্ষ্যেই মডেল মসজিদের প্রকল্প নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নৈখাইস্থ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের উত্তর পাশে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে দৃষ্টিনন্দন উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০ জুন বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মসজিদটি উদ্বোধন করবেন। এই মসজিদে প্রায় ৯শ’মুসল্লি এক সাথে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

জানা যায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১২ কোটি ৯৭ লক্ষ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রেটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিগত ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল স্থানীয় সংসদ সদস্য (মরহুম) মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন তলা ভিত বিশিষ্ট তিন তলা ভবনের নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে।

ভূমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পটি ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তৎকালীন এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ভূমি জটিলতা নিরসন হয়। ফলে উক্ত স্থানে সিলেট জেলার মধ্যে প্রথম উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। মসজিদটির নির্মাণ কাজ দ্রুত ও মানসম্পন্নভাবে শেষ করার লক্ষ্যে মৃত্যুর পূর্বে কয়েক বার পরিদর্শন করেছেন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী । তবে উদ্বোধন দেখে যেতে পারেননি তিনি।

প্রায় ৪৩ শতক (১৮,৭০০ বর্গফুট) ভূমির উপর নির্মিত উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নিচ তলায় ১৫ হাজার বর্গফুটে রয়েছে ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ডাইনিং রুম, প্রতিবন্ধী কর্ণার, মরদেহ গোসলের কক্ষ, জেনারেটর রুম, অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য নামাজ কক্ষ, কার পার্কিং, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বুক সেলস সেন্টার ও ওজুখানা।

২য় তলায় মূল নামাজ কক্ষ, কনফারেন্স রুম, ওজুখানা, টয়লেট, উপ-পরিচালকের কক্ষ, হিসাব কক্ষ। ৩য় তলায় পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক পৃথক নামাজ কক্ষ, মক্তব কক্ষ, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম, শিক্ষক ও সাধারণ কর্মচারীদের কক্ষ, অতিথি কক্ষ। এছাড়াও মেহেরাব, সিড়ি ও একটি সুউচ্চ দৃষ্টি নন্দন মিনার রয়েছে।