সুনামগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে আহত যুবকের মৃত্যু

সুনামগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে আহত যুবকের মৃত্যু

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। যুবকের নাম দেলোয়ার হোসেন (২৮)। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। ওই দিন দুপুরে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুংগাছড়া গ্রামের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আহত হন দেলোয়ার হোসেন। 

তিনি তাহিরপুর সীমান্তের বুরুংগাছড়া গ্রামের মো. রাশেদ মিয়ার ছেলে ও তার দুই সন্তান রয়েছে। 

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে তাহিরপুরের উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুংগাছড়া গ্রামের বাসিন্দা হনুফা বেগম সীমান্তের শূন্য রেখা অতিক্রম করে পাথর তুলতে যান। এ সময় বিএসএফের টহলরত এক সদস্য এসে উপস্থিত হন এবং তিনি মহিলাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামের বাসিন্দারা বিএসএফ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারতে থাকেন। বিএসএফের সদস্যরাও বাংলাদেশী নাগরিকদের ধাওয়া দেন। পরে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের ৫০ গজ ভেতরে এসে তিন রাউন্ড ছড়া গুলি করে। এতে বুরুংগাছড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের কোমরের নিচে গুলি লাগে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আহত হনুফা বেগমকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলোয়ারের মৃত্যু হয়। 

দেলোয়ারের ছোট ভাই আমির হোসেন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সাড়ে ৫টায় ওসমানীতে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে তার ভাইয়ের মৃত্যু ঘটেছে।  

সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির পরিচালক অধিনায়ক মো. মাহবুবুর রহমান (পিবিজিএম) জানান, গুলিবিদ্ধ দেলোয়ার মারা গেছেন এমন সংবাদ তিনিও শুনেছেন। এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি ও ব্যাটেলিয়ন পর্যায়ে শনিবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। তারা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে ১৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কাছে প্রতিবাদ লিপি দ্রুত পাঠানো হবে।