সুনামগঞ্জে রেললাইন বাস্তবায়নে ৫ এমপির চিঠি

সুনামগঞ্জে রেললাইন বাস্তবায়নে ৫ এমপির চিঠি

শিল্পনগরী ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ হয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পর্যন্ত প্রয়াত রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আমলে করা অ্যালাইমেন্ট অনুযায়ী রেললাইন স্থাপনের সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন জেলার পাঁচজন সংসদ সদস্য। ওইদিকে রেললাইন স্থাপিত হলে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তারা।

রেলমন্ত্রীকে মঙ্গলবার পাঠানো ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন, সংসদ সদস্য মুবিবুর রহমান মানিক, অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জয়া সেনগুপ্তা, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম।

চিঠিতে বলা হয়, ১৯৫৪ সালে সিলেট থেকে ছাতক পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের পর থেকে জেলা সদর পর্যন্ত নিয়ে আসার যে দাবি ছাতক, দোয়ারাবাজার ও সদর উপজেলার সাধারণ মানুষ জানিয়ে আসছেন তার প্রতি অতীতে কোনও সরকার কর্ণপাত করেনি। ২০১১ সালে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলে দাবিটি আরো জোরালো হয়। ২০১২ সালে ছাতকে তাঁকে দেওয়া এক সংবর্ধনায় ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ হয়ে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের ঘোষণা দেন তিনি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রীর ঘোষণার পর কয়েক দফা প্রতিশ্রুত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন ও সমীক্ষা চালায় রেল বিভাগ। তাদের সমীক্ষামতে ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের অ্যালাইমন্টে তৈরি হয়।

জনসাধারণের দীর্ঘদিনের দাবিটি আমলে নিয়ে ছাতক থেকে দোয়ারাবাজার হয়ে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের জন্য রেলমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান জেলার পাঁচজন সংসদ সদস্য। দাবির যৌক্তিকতা উপস্থাপন করে চিঠিতে তাঁরা আরও লেখেন, ছাতক-সুনামগঞ্জ অ্যালাইমেন্ট অনুযায়ী রেললাইন নির্মাণে দূরত্ব মাত্র ২২ কিলোমিটার। ওইপথে দু-একটি খাল ছাড়া কোনও নদী নেই। রেললাইনটি সুরমা নদী থেকে তিন-চার কিলোমিটার দক্ষিণে দেখার হাওরের উত্তরপাড়ে নির্মিত হবে। ফলে হাওরের জীববৈচিত্র বিনষ্ট কিংবা নদীভাঙনে পড়ার কোনও আশঙ্কা নেই। উঁচু জমি হওয়ায় নির্মাণ ব্যয় কম হওয়ার পাশাপাশি এতে বেশিসংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন। এছাড়া ছাতকে একটি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার নীতিগত সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি আরো ফলপ্রসু হবে। জেলা সদরসহ দেশের অপরাপর স্থানের সাথে ছাতকের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠবে।