স্কুলে বাস করা মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর চিকিৎসা শুরু

স্কুলে বাস করা মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর চিকিৎসা শুরু

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় ও রানীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত তিন বছর ধরে সমতেরা বেগম নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী বাস করছিলেন। অবশেষে ওই নারীর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। রানীগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোবিদ্যা বিভাগের চিকিৎসক কাওসার আহমেদের তত্ত্বাবধানে সমতেরা বেগমের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল প্রথম আলোয় ওই নারীকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর রানীগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সামাদ ওই নারীর চিকিৎসার উদ্যোগ নেন।

আবদুস সামাদ বলেন, সমতেরা বেগমের চিকিৎসার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বান জানানোর পর ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। দেশ–বিদেশে অবস্থানরত বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় অনেকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৮০ টাকা সহায়তা পাওয়া গেছে। এখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা দিয়েছেন। সমতেরা বেগমের সহায়তার জন্য একজন নারী ও একজন পুরুষকে ন্যূন্যতম মজুরি দিয়ে রাখা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রানীগঞ্জ ইউনিয়নে পাশাপাশি দুটি প্রতিষ্ঠান রানীগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় ও রানীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত তিন বছর ধরে অজ্ঞাতনামা হিসেবে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী সেখানে বাস করছিলেন। করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা না হলেও গত ৩ মার্চ বিদ্যালয় খোলার পর থেকে দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা ওই নারীকে নিয়ে সমস্যায় পড়েন। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওই নারী এলোমেলোভাবে চলাফেরা করেন। যাকে পান তাকে গালিগালাজ করেন।