হবিগঞ্জে মহাসড়কের পাশে জন্ম নেওয়া শিশু ছোটমনি নিবাসে

হবিগঞ্জে মহাসড়কের পাশে জন্ম নেওয়া শিশু ছোটমনি নিবাসে

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে জন্ম নেওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর নবজাতককে দত্তক নিতে চান এক দম্পতি। তবে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দিনভর চেষ্টা করেও তারা শিশুটিকে নিতে পারেননি।

এদিকে, সোমবার রাত ১১টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও শিশুটিকে দত্তক দেওয়ার বিষয়ে আইনি সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

মাধবপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আশরাফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শিশুটিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাকেও সেখানে ভর্তি রাখা হয়েছে। সমাজসেবা বিভাগের সেন্ট্রাল হোমের মাধ্যমে সিলেট ছোটমনি নিবাসের অধীনে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সিনিয়র আইনজীবী পারভীন আক্তার মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, এখনো আদালতের আদেশ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা অপেক্ষায় আছি। এরইমধ্যে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এর আগে সোমবার রাত ১১টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া সম্ভব হয়নি।

মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এইচ এম ইসতিয়াক মামুন বলেন, মা ও নবজাতক দুজনই সুস্থ আছে। তবে ওই নারী তার নাম, ঠিকানা কিছুই বলতে পারছেন না।

জানা গেছে, নওগাঁর রানীনগর উপজেলার রোজগ্রামের বাসিন্দা মিল্টন সর্দার ও তার স্ত্রী মোছাম্মৎ সোনিয়া আক্তার ওই নবজাতককে দত্তক নিতে চান। মিল্টন সর্দার মাধবপুরে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে তারা এখানেই থাকেন। ১৩ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু কোনো সন্তান হয়নি। তাই তারা এ শিশুটিকে দত্তক নিতে চান। কিন্তু এখনো তারা কোনো সিদ্ধান্ত পাননি। তবে এখনো আশা ছাড়েননি।

মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী বেশ কয়েকদিন ধরে মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। রোববার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রসব ব্যথায় রাস্তার পাশে কাতরাচ্ছিলেন তিনি। খবর পেয়ে ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা বেগতিক দেখে সেখানেই সন্তান প্রসব করান। এসময় ওই নারী এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।