হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে যা বলছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা

হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে যা বলছেন  বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন সিলেটের হারিছ চৌধুরী। বিএনপি সরকারের আমলে প্রতাপশালী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি। সেই ‘শক্তিমান’ হারিছ চৌধুরী কয়েক মাস আগে যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, তাঁরা এ বিষয়ে অবগত নন।

হারিছ চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দর্পনগরে। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর পালিয়ে যান তিনি। ভারত হয়ে কয়েকটি দেশ ঘুরে তিনি যুক্তরাজ্যে থিতু হন বলে গুঞ্জন ছিল।

হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আশিক চৌধুরী জানিয়েছেন, গত বছরের আগস্টে যুক্তরাজ্যে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসা নিয়ে করোনামুক্ত হয়েছিলেন। তবে তার ফুসফুস মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেপ্টেম্বরের শেষদিকে তিনি মারা যান। হারিছ চৌধুরী ব্লাড ক্যান্সার ও অন্যান্য জটিলতায়ও ভুগছিলেন।

হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর গেল দু-তিনদিন ধরে আলোড়ন ওঠেছে। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে অবগত নন।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি নিজেও এ বিষয়ে নিশ্চিত না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে, দেখেছি।’

দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘খবরটি সত্যি কিনা জানি না। তবে সিলেটের স্থানীয় নেতারা সঠিকটা বলতে পারবেন।’

দলরি স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমিও বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। দলের কেউই এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, তিনি এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানেন না।

হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন মহিউদ্দিন খান মোহন। তিনি বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমে দেখলাম হারিছ ভাই মারা গেছেন। বিষয়টি আমি নিজেও কনফার্ম না। সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভালো জানেন। হারিছ ভাই যদি মারা গিয়ে থাকেন, আল্লাহ যেন তার দোষ ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাত দান করেন।’

মোহন আরও বলেন, “১/১১ এর সময় উনি আসামের করিমগঞ্জে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে উনার কোনো খোঁজ নেই। আমি মনে করি রাজনীতিকদের হিসাব করে চলা উচিত। এমন কিছু করা উচিত না যে তাদের ইতিহাস থেকে, দৃশ্যপট থেকে ছিটকে পড়তে না হয়। হারিছ চৌধুরী একজন দাপুটে রাজনীতিক ছিলেন। তিনি যেভাবে দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে গেলেন তা খুব দুঃখজনক। রাজনীতিকদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।’