আ. লীগের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ আতিকের

আ. লীগের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ আতিকের
জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক।

শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জের ৭টি কেন্দ্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দখল করে নিয়েছেন। পিটাইটিকর, কাসিম আলী স্কুল ও চন্ডিবাজারসহ অন্যান্য কেন্দ্রগুলো থেকে লাঙ্গলের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটারদেরও মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

দক্ষিণ সুরমার কুচাই শ্রীরামপুর সেন্টার থেকে লাঙ্গলের এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। লাঙ্গলের ভোটারদের জোর করে নৌকায় ভোট দেয়ানো হয়েছে। -জানান আতিক

এদিকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম।  কেন্দ্রের বাইরে দেখা গেছে ভোটারদের উপচেপড়া ভিড়।

বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ভিড় লক্ষ করা গেছে।  কিন্তু ভেতরে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি নেই।

অন্তত ১০ টি সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, তেমন ভোটার নেই কোথাও। ভোটকেন্দ্র প্রায় ফাঁকাই।

সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার রয়েছে পুরো নির্বাচনী এলাকা।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে সিলেট-৩ আসন গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৫২ হাজার জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি।

নির্বাচনে মোট প্রার্থী আছেন চারজন। তাঁরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান (লাঙ্গল), নির্বাচনে নেমে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি-কার) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া (ডাব)।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১১ মার্চ মারা যান সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

আসনটিতে গত ২৮ জুলাই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উচ্চ আদালত নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেন।