সিলেট-৩ আসনে উপ নির্বাচন

উচ্চসংক্রমণের মধ্যেও প্রচারে প্রার্থীরা, নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা কম

উচ্চসংক্রমণের মধ্যেও প্রচারে প্রার্থীরা, নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা কম
শুক্রবার (১৬ জুলাই) বালাগঞ্জের পূর্ব গৌরিপুর ও পশ্চিম গৌরীপুরে নির্বাচনী গণসংযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। ছবি- প্রার্থীর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

সিলেটে চলছে করোনাভাইরাসের উচ্চসংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগে আরও ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আরও ৫৮৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

তবে এস কঠিন পরিস্থিতিতেও ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের আয়োজন চলছে। ভোটকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা নেমেছেন প্রচারে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেও সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

নির্বাচনের কারণে জনসমাগম হবে এমনটা জানার পরও আইনের বাধ্যবাধকতার কথা বলে এই উপনির্বাচন ২৮ জুলাই শেষ করতে চায় ইসি। সম্প্রতি ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকেও এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই এখন পর্যন্ত ভোটের আয়োজনের ব্যাপারে অনড় রয়েছে ইসি।

প্রয়াত সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী

নির্বাচন কমিশনের একজন অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন, সংবিধানের বাধ্যবাধকতা থাকায় উপনির্বাচনের বিষয়ে আগের সিদ্ধান্তই বলবৎ থাকবে। নতুন করে পেছানোর কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

করোনা পরিস্থিতিতে সভা–সমাবেশ ও জনসমাগমে সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আসন্ন উপনির্বাচনকে ঘিরে সিলেট ৩ এর ভোটকে ঘিরে প্রার্থীদের প্রচার চলছে। এতে শত শত লোক ভিড় করছেন।

এদিকে ভোট প্রচারের ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী এম এমদাদুল ইসলাম নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রচারে প্রার্থী ও সমর্থকদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। কিন্তু করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও কেউ এই নির্দেশনা মানছেন না।

২৮ জুলাইয়ের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন হাবিবুর রহমান (আওয়ামী লীগ), আতিকুর রহমান (জাতীয় পার্টি), জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া (প্রতীক ডাব) ও শফি আহমদ চৌধুরী (প্রতীক গাড়ি)।

গত ১১ মার্চ সিলেট ৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে।