এ যেন অচেনা সিলেট!

এ যেন অচেনা সিলেট!

ঈদে ফাঁকা হয়ে পড়ছে ব্যস্ত নগর সিলেট। সড়কে নেই যানজটের চেনা রূপ। শপিংমল আর বিপণিবিতান খোলা নেই। নেই ক্রেতাদের ভিড়, আর বিক্রেতাদের হৈ-হুল্লোড় করে ডাকাডাকি।

ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সিলেট নগরে এক পশলা বৃষ্টি হয়। এতে কমেছে গরম। মিলেছে স্বস্তি। গত কয়েকদিন ধরে নগর ছেড়ে গ্রামে গেছে মানুষজন। নগরে মানুষের আনাগোনা একেবারে কম। যানবাহন চলাচলও নেই বললে চলে। ঈদের আমেজে ট্রাফিক পুলিশেরাও বিভিন্ন মোড়ে অলস সময় পার করছেন।

কোলাহলমুখর সিলেটের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজার। ব্যস্ততম পয়েন্ট আম্বরখানা, চৌহাট্টা, বন্দরবাজার, জেলরোড, লামাবাজার, রিকাবীবাজার। এই পয়েন্টগুলোতে প্রায় সময়ই চোখে পড়ে যানজটের দৃশ্য। এসব এলাকায় যানজটে পড়ে দুর্ভোগ পোহানো নগরবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী। কবে ঈদের দিনে সিলেট নগরী এখন ফাঁকা। শহরের রাস্তা জুড়ে নেই যানজট আর কোটি মানুষের আনোগোনা। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন নগরবাসী। সিলেটের অধিকাংশ সড়কই একই অবস্থা। সবখানে সুনসান নীরবতা।

ঈদের দিন সকালে সিলেট নগরের সিএনজি অটোরিকশা এবং লেগুনার স্ট্যান্ড ফাঁকা রয়েছে। যানবাহন নেই, নেই হাকডাক। কোলাহলমুক্ত পরিবারে মুক্ত বাতাসে বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে নগরবাসী।

রিকশা চালকরা জানান, ঈদের দিন রাস্তা ফাঁকা থাকে। রাস্তায় গাড়ি বেশি থাকে না। পড়তে হয় না যানজটের কবলে। এই দিন রিকশা চালাতে ভালো লাগে। আবার অনেকে ঈদের বখশিস হিসেবে বেশি ভাড়া দিয়ে থাকেন।

করোনা সংক্রমণরোধে বিধিনিষেধের মধ্যেও ঈদের আগের দু-তিন থেকে নগর ছাড়তে থাকে মানুষ। শেষ-মুহূর্তে নগর ফাঁকা হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বিকেলে নগরের জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানাসহ একাধিক স্থান ঘুরে দেখা যায়, শপিংমল আর বিপণিবিতানে ক্রেতা তেমন নেই। তবে ভিড় ছিল আতর, টুপির দোকানে।