নয়াদিল্লিতে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক

কুশিয়ারার পানি বণ্টন চুক্তিতে ঐকমত্য

কুশিয়ারার পানি বণ্টন চুক্তিতে ঐকমত্য

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের নয়াদিল্লিতে বৈঠকের প্রথম দিনে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। প্রথম দিনের বৈঠক হয় সচিব পর্যায়ে। আজও বৈঠক চলবে। এতে অভিন্ন ছয়টি নদ-নদীর পানি বণ্টনের খসড়া চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্র জানিয়েছেন। এ নদ-নদীগুলো হলো মুহুরী, মনু, গোমতী, খোয়াই দুধকুমার ও ধরলা। এ ছাড়া ফেনী নদীর পানি উত্তোলন নিয়ে আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

এই বৈঠক সম্পর্কে গণমাধ্যমকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। বৃহস্পতিবার মন্ত্রি পর্যায়ের বৈঠক হবে। এদিকে গতকাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ডস অ্যাফেয়ার্সের ‘বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতি’ সম্পর্কে আলোচনা করে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অধ্যাপক শাহিদুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময়ে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর হবে এবং কানেকটিভিটি ও বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে।

এই সভায় ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সমন্বয়কারী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময়ে ভারত-বাংলাদেশের সুসংহত বাণিজ্য চুক্তি বা সেপা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের রপ্তানি বহু বেড়ে যাবে এবং বাংলাদেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ১.৭২ শতাংশ বাড়াবে। ভারতেরও বাড়বে। শ্রিংলা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী পঁচিশ বছরের রূপরেখা তৈরি হবে। তিনি জানান, বালাদেশ ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। সেই কথা অনেকেই বলেন না। বাংলাদেশের রপ্তানি দুই বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। শ্রিংলা আশা প্রকাশ করেন, প্যারাটারিফ ব্যারিয়ার নিয়ে জটিলতা কাটতে পারে।

শ্রিংলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়ে দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে আগামী দিনের সহযোগিতার রূপরেখা কী হবে। তিনি জানান, একই বছরের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সফর এক উল্লেখজনক ঘটনা। এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশ্বের অন্য দেশের কাছে অনুকরণ যোগ্য। তিনি এও বলেন, দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতি শুরু হয়েছে গত এক দশকে। প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন প্রথম ঢাকা সফর করেন। তখন স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর এক ঐতিহাসিক ঘটনা। তখন যৌথ বিবৃতিতে এই সম্পর্ককে বলা হয়েছিল নয়া প্রজন্ম-নয়া দিশা। বর্তমানে বাংলাদেশের যুবা সম্প্রদায়ের কথা ভেবে আর্থিক প্রযুক্তিগতভাবে বহু সহযোগিতা হয়েছে ফিনটেকের মাধ্যমে। এর লাভ উভয় দেশই পাচ্ছে।