কুশিয়ারার পানি বন্টন চুক্তিতে আশার আলো দেখছেন জকিগঞ্জবাসী

কুশিয়ারার পানি বন্টন চুক্তিতে আশার আলো দেখছেন জকিগঞ্জবাসী

আধুনিক কৃষি ও চাষাবাদের যুগেও জকিগঞ্জে এখনো গড়ে উঠেনি কোন সেচ প্রকল্প। খাদ্য নিরাপত্তার অংশ হিসাবে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে ২০১১ সালে সিলেটের জকিগঞ্জে রহিমপুর খালে  পাম্প হাউস নির্মানের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ সেচ প্রকল্পের অধিনে জকিগঞ্জ ছাড়াও বিয়ানী বাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১০ হাজার  ৬শ হেক্টর ভূমি বোরো ধান চাষ ও মৌসুমী ফসলের আওতায় আসবে বলে ধারনা সংশ্লিষ্টদের।

আপার সুরমা কুশিয়ারা প্রকল্পের অধিনে প্রায় ৩শ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০১ সাল হতে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। জকিগঞ্জকে সেচ সুবিধা ও পানি নিস্কানের আওতায় আনতে খনন করা হয় বেশ কয়েকটি খাল। ২০১১ সালে মুল প্রকল্প পাম্প হাউস ও রহিমপুরী খাল খনন প্রকল্প শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০১৬ সালে সেচ প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও ভারতের বিএসএফের বাঁধার কারণে কুশিয়ারা নদীর সাথে সংযোগ স্থলের বাঁধ (ইনটেক চ্যানেল) কাটতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইনটেক চ্যানেলের ৪১০ মিটারের মধ্যে ৩২৫ মিটার সম্পন্ন হলেও নদী হতে খালটির সংযোগস্থলে বাঁধটি কাটতে গিয়ে বিএসএফের বাঁধার মূখে পড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড।  ফলে মূখথুবড়ে পড়ে প্রকল্পটি। প্রায় ১১ বছর থেকে উৎস মূখ বন্ধ থাকায় মরাখালে পরিনত হয় দীর্ঘ রহিমপুর খালটি। রহিমপুর খালটি কুশিয়ারা নদী থেকে শুরু হয়ে তালনদী, চিকানালা নাম নিয়ে বিয়ানীবাজারে সদাখাল নামে প্রবাহিত হয়েছে।

প্রকল্পটির মুল উদ্দেশ্য ছিল, প্রায় ৫৪ হেক্টর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রন ও পানি নিস্কাশন সুবিধাসহ প্রায় ১০ হাজার ৬ শ হেক্টর ভূমি চাষের আওতায় নিয়ে আসা। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয় প্রায় ১৪৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ৪৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার নিস্কাশন খাল এবং ৩৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সেচ খাল খনন। বন্ধ থাকা এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী ও জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার দৌড়ঝাপ শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর উপলক্ষ্যে সেচ প্রকল্পটি আবারো আলোচনায় এসেছে। উক্ত সফরে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যম সেচ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে বলে আশাবাদী জকিগঞ্জবাসী।