কেন্দ্রীয় নেতাদের ভিড় বাড়ছে, ব্যস্ততা বেড়েছে স্থানীয়দের

কেন্দ্রীয় নেতাদের ভিড় বাড়ছে, ব্যস্ততা বেড়েছে স্থানীয়দের

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে ভোট চাইতে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদেরও ভিড় লেগে আছে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে স্থানীয় সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আর কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটমুখী হওয়ায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদেরও ব্যস্ততা বেড়েছে। 

শোকের মাস আগস্টে শোকসভার পাশাপাশি চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন উপকমিটি করে দিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগও। 

ইতোমধ্যে গত ২৫ জুলাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে নৌকার সমর্থনে তিনটি নির্বাচনী জনসভা করেছেন। গত ১৭ আগস্ট যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিলের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় যুবলীগের একটি দল সিলেট আসেন। ১৮ জুলাই নির্বাচনী প্রচারণায় সিলেট আসেন তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাবু খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথের নেতৃত্বে তাঁতী লীগের টিম। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে আরও ৫ কেন্দ্রীয় নেতা সিলেটে আসবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভায় যোগ দেবেন তারা। সিলেটে আসার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুস সামাদ ডন'র।  এছাড়া আগামী ২৫ আগস্ট সিলেট আসবেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। 

এদিকে ২৯ আগস্ট কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি আসছেন। ১ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সিলেটে আসার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। 

জেলা পরিষদের সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান মতি সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে নৌকার বিকল্প নেই। নৌকা হচ্ছে উন্নয়নের প্রতীক, শান্তির প্রতীক।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেট-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়। ২৮ জুলাই ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

সিলেট নগরের উপকণ্ঠে অবস্থিত তিন উপজেলা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নিয়ে সিলেট-৩ আসন গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার। কেন্দ্র ১৪৯টি।

উপনির্বাচনে মাঠে থাকা প্রার্থী চারজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান (লাঙ্গল), নির্বাচনে নেমে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি-কার) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া (ডাব)।