গুম-মানবাধিকার লঙ্ঘনে নিরপেক্ষ তদন্ত আহ্বান জাতিসংঘের

গুম-মানবাধিকার লঙ্ঘনে নিরপেক্ষ তদন্ত আহ্বান জাতিসংঘের

জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিস নাদা আল-নাসিফের বক্তব্যে ফের বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫১তম সেশনে বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।

বর্তমানে বাংলাদেশের মানবাধিকারের অবস্থা এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতিসংঘের সুষ্পষ্ট বক্তব্য উপস্থাপন করে তিনি বলেন, আগস্ট মাসে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে সেখানকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অস্থায়ী ক্যাম্প এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির ব্যাপারে জাতিসংঘের উদ্বেগের বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরেছিলেন।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, আগস্টে বাংলাদেশ সফরের সময় তৎকালীন হাইকমিশনার বাংলাদেশের মতপ্রকাশের ওপর প্রতিবন্ধকতামূলক আইনের সংস্কারের জন্য কমিশনের পূর্ণ সহযোগিতার প্রস্তাব রাখেন। একই সঙ্গে, হাইকমিশনারের সফরের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে র‍্যাব কর্তৃক গুমসহ সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি বিশেষায়িত মেকানিজমের মাধ্যমে তদন্ত করার আহ্বান জানান।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার তার বক্তব্যে আরো বলেন, যে পরবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে মেরুকরণের যে পরিবেশ বিরাজমান সে অবস্থায় সরকারকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার জন্য বলেন।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং ভিক্টিম পরিবারের সদস্যদের কোনো প্রকার নিবর্তন অথবা নিষেধাজ্ঞায় রাখা যাবে না। যেন তাদের মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলা ব্যাহত না হয়।

এ ব্যাপারে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভেকেট আসাদুজ্জামান বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সুষ্পষ্ট এই প্রতিবেদন বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য মাইলফলক। বিএনপি অতিসত্ত্বর জাতিসংঘের তত্ত্বাবধায়নে খুন-গুমসহ যাবতীয় মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত চায়।

পাশাপাশি, দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে এবং নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার স্বার্থে সরকারের পদত্যাগ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান তিনি।