চাচাতো বোনকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

চাচাতো বোনকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

চাচাতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহিন নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ এ রায় দেন। আদালত শাহীনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।

জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার জিকুয়া গ্রামের শেফালী বেগমকে (১৩) ২০১৬ সালের ১ জুলাই তার ঘরে ধর্ষণ করে চাচাতো ভাই শাহীন মিয়া। শাহীন একই গ্রামের ইয়ার হোসেনের একমাত্র ছেলে। এক পর্যায়ে শেফালী অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে পারিবারিকভাবে শেফালী ও শাহীনের বিয়ের কথাবার্তা চললেও শাহীনের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মা বেকে বসেন। তিনি কোনভাবেই শেফালীকে ছেলের বৌ করতে রাজি হননি। এরই মধ্যে কেটে যায় ৩৪ সপ্তাহ।

এদিকে, শেফালীর প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুত্র সন্তান প্রসবের পর শেফালী একলামশিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এরআগেই তিনি (শেফালী) বাদি হয়ে শাহীনের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেন। শাহিন ওই শিশুর পিতা অস্বীকার করে আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার দাবি করেন। আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্টে শিশুটি শাহীনের ঔরসজাত বলে প্রমানিত হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি পিপি আবু হাসেম মোল্লা মাসুম বলেন, আদেশে আরো বলা হয় শিশু শাহানূর তুহিনের ব্যয়ভার রাষ্ট্রপক্ষ বহন করবে। ভরন-পোষনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরকার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী শাহিন মিয়ার নিকট থেকে আদায় করতে পারবে। শিশুটির বয়স ২১ বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত মায়ের আত্মীয় স্বজনের কাছে প্রতিপালিত হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ ব্যাতিত দন্ডিত শাহিন মিয়াকে ধর্ষণের ফলে জন্ম গ্রহণকারি সন্তান শাহানূর তুহিনের বৈধ অভিভাবক বলে গণ্য করা যাবে না। আসামী পক্ষে ছিলেন এডভোকেট চৌধুরী আশরাফুর বারী নোমান।