চালু হতে যাচ্ছে সিলেটের প্রথম এক্সেল লোড কন্ট্রোলার স্টেশন

চালু হতে যাচ্ছে সিলেটের প্রথম এক্সেল লোড কন্ট্রোলার স্টেশন

সিলেটের প্রথম এক্সেল লোড কন্ট্রোলার স্টেশনের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের লামাকাজীতে অবস্থিত এই স্টেশনটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা।

ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি পণ্যবহন যেন বিভিন্ন পরিবহনের নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সড়ক-মহাসড়ক। বিশেষ করে খনিজসম্পদে ভরপুর সিলেট অঞ্চলের সড়কে পাথরবাহী পরিবহনের চাপ একটু বেশি। এতে সংস্কারের পর পুনরায় দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় রাস্তাঘাট। এসব রাস্তা সংস্কারে ব্যয় করতে হয় বিপুল অঙ্কের টাকা। এই পরিস্থিতিতে সিলেটের ৫ টি সড়ক-মহাসড়কে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র বসানোর উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। এরমধ্যে সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কে নির্মিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ২০১৯ সালে সারাদেশে ২৮টি এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করে সওজ। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। এর মেয়াদকাল ধরা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৬৩০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় সড়কে এক্সেল লোড কন্ট্রোলার নির্মাণ হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সিলেটের সড়ক-মহাসড়কের কোথাও কোনো এক্সেল লোড তথা অতিরিক্ত ধারণক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করার কেন্দ্র ছিলনা। প্রথম কেন্দ্র হিসেবে লামাকাজী স্টেশন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া ভোলাগঞ্জ সড়কে এক্সেল লোড কন্ট্রোলারের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ২৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। 

এছাড়া সুতারকান্দি এক্সেল লোড কন্ট্রোলারের জমি অধিগ্রহণ ও ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বাদাঘাট এক্সেল লোড কন্ট্রোলার স্টেশনের পরিকল্পনা প্রণয়ন হয়েছে। নির্মাণ কাজ শুরু হতে আরো কিছু সময় লাগবে। তামাবিল এক্সেল লোড কন্ট্রোলার নির্মাণের কাজ ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ৪ লেনে (দুটি সার্ভিস লেনসহ ছয় লেন) উন্নীতকরণ প্রকল্পে অন্তভূর্ক্ত করা হয়েছে। 

সিলেটের ৫ টি এক্সেল লোড কন্ট্রোলার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সড়ক-মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন বন্ধ হবে। কেউ ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন করলে সেটা নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে ধরা পড়বে। তখন তাকে নির্দিষ্ট জরিমানার মুখে পড়তে হবে। ফলে ক্ষতির সম্মুখিন থেকে সড়ক-মহাসড়ক কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে।