জুনে বাংলাদেশে আসছেন না মেসিরা

জুনে বাংলাদেশে আসছেন না মেসিরা

আগামী ১২-২০ জুন ফিফা উইন্ডোতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেসিদের বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই আলোচনা অগ্রগতি হলেও শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে বাফুফে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আর্জেন্টিনা ফুটবল এসোসিয়েশনকে (আফা) জানানো হয়েছে জুনে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব নয়। আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর আর্জেন্টিনা ফুটবল এসোসিয়েশন বাফুফেকে কিছু জানায়নি এবং আর্জেন্টাইন মিডিয়াতে এই সংক্রান্ত কোনো খবর আসেনি।

জুনে ঢাকায় মেসিদের আনতে না পারার কারণ সম্পর্কে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‌‌‘উভয়পক্ষ (দুই ফেডারেশন) চুক্তি করার পর্যায়ে ছিলাম। আমাদের স্টেডিয়ামের (বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) সংস্কার কাজ চলছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আনা সম্ভব হচ্ছে না।’

এর আগে জানুয়ারির দিকে যখন বাফুফে উদ্যোগ নেয়, তখনও স্টেডিয়াম অপ্রস্তুত ছিল এবং জুনের মধ্যে পরিপূর্ণ স্টেডিয়াম পাওয়া কঠিনই ছিল। এরপরও আর্জেন্টিনাকে প্রস্তাব দেওয়ার কারণ সম্পর্কে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমাদের একটা চেষ্টা ছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আসুক। আর্জেন্টিনাও বাংলাদেশে আসার জন্য যথেষ্ট আগ্রহী ছিল। স্টেডিয়াম নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিষদ কাজ করছে। এটি পরিপূর্ণ করতে তাদের আরও সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছে।’

জুনের ম্যাচকে সামনে রেখে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিল। স্টেডিয়াম অপ্রস্তুত থাকায় বাফুফে সেই প্রতিনিধি দলকেও আসার আমন্ত্রণ জানাতে পারেনি। তবে ঈদের ছুটির পর আনুষ্ঠানিকভাবে জুন উইন্ডোতে ম্যাচ আয়োজন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে। একইসঙ্গে আর্জেন্টিনাকে অবহিত করা হয়েছে, জুন উইন্ডোতে না হলেও স্টেডিয়াম পরিপূর্ণতা পেলে আবার আনার চেষ্টা করবে বাফুফে। 

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গ্যালারি ও ফ্লাডলাইটের টেন্ডার এখনও হয়নি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া সংস্কার কাজ তিন দফা পিছিয়েছে। সময় ও বাজেট বেড়ে এখন আগামী বছরের জুনে সম্পুর্ণ কাজ শেষ হওয়ার কথা। ফলে এই বছর জুনের পরবর্তী ফিফা উইন্ডোতেও বাংলাদেশে মেসিদের আসার সম্ভাবনা নেই। ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছিল। সেই সময় মেসিদের আনতে যে প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল, এবারও সেই প্রতিষ্ঠান আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে আনার সম্পুর্ণ খরচ বহন করতো।

মেসিদের বাংলাদেশে পুনরায় আগমন নিয়ে কাজ করছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাবেক জাতীয় গোলরক্ষক শহিদুর রহমান চৌধুরী সান্টু। জুন উইন্ডোতে চীনে ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা রয়েছে আর্জেন্টিনার। বাংলাদেশে ম্যাচটি না হওয়ায় চীনে অথবা এশিয়াতেই অন্য কোনো ম্যাচ খেলতে পারেন মেসিরা, এমনটা সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস থেকে জানিয়েছিলেন সান্টু। 

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশের আনার বিষয়ে ১৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিল বাফুফে। সেদিন সকালে আবার সম্মেলন স্থগিত করা হয়। ১৮ জানুয়ারির পর থেকে আর্জেন্টিনা বিষয়ে বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সংবাদ সম্মেলন বা বিবৃতি দেয়নি। এমনকি বাফুফের নির্বাহী কমিটির কোনো সভাতেও আর্জেন্টিনার বিষয়ে আলোচনা হয়নি৷