সিলেটে লকডাউনের ১১তম দিন

তবুও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ

তবুও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ
ছবি- জাগো সিলেট

সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের ১১তম দিনে সিলেটে মানুষের আনাগোনা অন্যান দিনের চেয়ে বেশী রয়েছে। বাইরে বের হওয়া মানুষদের অধিকাংশরা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক পড়তেও অনিহা রয়েছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষকে যদি এখই সচেতন না করা যায় তবে সিলেটের জন্য মহাবিপদ। সবাইকে করোনা প্রতিরোধে সরকারের বিধিনিষেধের পাশাপাশি নিজেদের মধ্য ব্যাপকহারে স্বাস্থ্য সচেতনা বাড়াতে হবে।

(১১ জুলাই) রবিবার দুপুরে নগরের আম্বরখানা, সুবিদবাজার, দরগাহ মহল্লাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। অনেক জায়গায় যানবাহন চলাচল ও মানুষের আনাগোনা দেখে বোঝার উপায় নেই যে বিধিনিষেধ চলছে।

এছাড়া, শুরু থেকেই করোনাভাইরাস রোধে এবং মানুষকে সচেতন করতে মাঠে রয়েছে সিলেটের প্রশাসন। প্রতিদিনই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায় বলেন, কঠোর লকডাউনে সিসিকের অভিযান সবসময় অব্যাহত আছে। প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে জরিমানাও করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সর্তক করে দেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম শামীম বলেন, সরকার নির্দেশিত কঠোর লকডাউন অবশ্যই কঠোরভাবে মানতে হবে। একান্ত জরুরি প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, করোনাভাইরাস সম্পর্কে মানুষ যদি নিজে থেকে সচেতন না হয়, তাহলে পুলিশের পক্ষে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ ও সচেতন করা কষ্টসাধ্য । তবুও পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, শেষ ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন ৬০২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭ জন। যা এর আগে এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা ছিলো ৪৪২ জন।