নিস্তব্দ নিরব প্রকৃতি

নিস্তব্দ নিরব প্রকৃতি

চারিদিকে শুনশান নিরবতা। নেই কোন কোলাহল, দর্শনাথীর ভিড়। কিন্তু সেই নিরবতা ভেদ করে হরেক রকম পাখির ডাক ভেসে আসছে।

উদ্ভিদের সবুজ ছোঁয়ায় ছেয়ে গেছে চারপাশ।যত দূর চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। বৃষ্টির ছোঁয়ায় গাছপালা গুলো সজীব সতেজ হয়ে উঠেছে।লকডাউনের সুযোগে প্রকৃতি তার নিজের মত করে বেড়ে উঠছে।

সিলেট শহরে ঘুরতে যাওয়ার জায়গার মধ্যে অন্যতম টিলাগড় ইকোপার্ক। করোনার কারনে দীর্ঘদিন ধরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে পার্কটিতে। আর সেই সুযোগে প্রাণী আর উদ্ভিদ যেন নিভৃতে নিজেদের দিন যাপন করছে। প্রকৃতি আর জনপদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা পার্কটি তার নিজস্ব রুপ ফিরে পাচ্ছে।

৯টি প্রজাতির ৫৮টি পশু-পাখি নিয়ে ১১২ একর জায়গাজুড়ে ইকোপার্কটির অবস্থান। ছোটবড় কয়েকটি পাহাড়-টিলায় সারি সারি নানা জাতের গাছ। গাছগুলোর মধ্যে শাল, গর্জন, জারুল, কড়ই, হিজল, ডুমুর আছে, আছে নারকেল, আম, জাম, কাঁঠালের মতো পরিচিত ফলদ বৃক্ষও।

এসব গাছপালা আর ঝোপঝাড়ের মধ্যেই বাস করে শেয়াল, বানর, বনমোরগ থেকে শুরু করে হনুমান পর্যন্ত। পাখিদের মধ্যে ময়না, টিয়া, ঘুঘু থাকলেও তাদের দেখা পাওয়াও অনেকটা ভাগ্যনির্ভর।

এদিকে পার্কটিতে সংযোযিত চিত্রা হরিণ, ছোট ছোট লাভ বার্ড, নীলকণ্ঠী ময়ূর, ম্যাকাও, গোল্ডেন ফিজেন্ট, সিলভার ফিজেন্ট, গ্রে-প্যারট, সান কনুরির, ডোরাকাটা জেব্রা, মাঝারি আকারের অজগর এখন নিরব এক সময় পার করছে।

টিলাগড় ইকো পার্কে খাবারের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ বাদল হোসেন জাগো সিলেটকে বলেন, নিয়মিতই পশু পাখিদের খাবার দেওয়া হয়। করোনাকালীন সময়ে তাদের দেখাশুনায় কোন কমতি হচ্ছে না। তবে আইন অমান্য করে অনেকেই পার্কে প্রবেশ করতে চায়।

তিনি জানান, নির্ঝনতার সুযোগে প্রাকৃতিক পরিবেশটা আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে।