পাকিস্তানকে কাদিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

পাকিস্তানকে কাদিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১৩৭ রান তুলে বাবর আজমরা। জবাবে ৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।

এ জয়ের ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান দুইবার শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবার ট্রফি জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা। আর ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তুলে নেয় দ্বিতীয় শিরোপা। এদিকে ইংল্যান্ডের প্রথম শিরোপা আসে ২০১০ সালে। আর এবার পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো জস বাটলারের দল।

লো-স্কোরিং ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত রান তুলতে থাকা ইংল্যান্ড পাওয়ার প্লে ছয় ওভারেই হারিয়েছে দুই ওপেনার ও একজন টপঅর্ডার ব্যাটারকে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ১ রানে আউট হন অ্যালেক্স হেলস। ১০ রানে ফিল সল্ট ও ২৩ রানে আউট হয়েছেন দলনেতা ও ওপেনার জস বাটলার।

শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সেই চাপ সামলে নেন বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুকস। এ সময় দুজন মিলে তুলেন ৩৯ রান। ২৩ বলে ২০ রানে আউট হন ব্রুকস। পরে মঈন আলিকে ৪৮ রানে জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়েন স্টোকস। ১৯ রানে ফেরেন মঈন। এরপর স্টোকস-লিভিংস্টোন জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৪৯ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন স্টোকস। লিভিংস্টোন অপরাজিত থাকেন ১ রানে।

মেলবোর্নে এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ইংলিশ দলনেতা জস বাটলার। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দেখে-শুনেই খেলা শুরু করেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার। কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ১৪ বলে ১৫ রান করে স্যাম কুরানের বলে বোল্ড আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

পরের উইকেটে খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মহ হ্যারিস। সপ্তম ওভারে বলতে করতে এসেই হ্যারিসকে আউট করেন ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদ। আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ৮ রান করেন হ্যারিস।

এদিকে শান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে ইতবাচক ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন ওপেনার ও দলনেতা বাবর আজম। কিন্তু আদিল রশিদের করা বলে ব্যক্তিগত ২৮ বলে ৩২ করে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। পরের উইকেটে খেলতে নেমে রানের খাতা খুলতে পারেননি ইফতেখার আহমেদ।

চার উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়েছিল পাকিস্তান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে চাপ সামলে দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নেন শান মাসুদ ও শাদাব খান। তবে মাসুদের ব্যক্তিগত স্কোরটা বড় করতে দেননি কুরান। ২৮ বলে ৩৮ রানে আউট হন তিনি। পরের ওভারে ২০ রানে ফেরেন শাদাব।

এরপর সুবিধা করতে পারেননি কেউই। মোহাম্মদ নেওয়াজ ৫ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র করেন ৪ রান। আর আর শাহিন শাহ আফ্রিদি ৫ রানে ও হ্যারিস রউফ ১ রানে অপরাজিত থাকেন।

ইংল্যান্ডের পক্ষে মাত্র ১২ রানের খরচায় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন স্যাম কুরান। ক্রিস জর্ডান ও আদিল রশিদ নিয়েছে দুটি করে উইকেট। আর একটি উইকেটের দেখা পেয়েছেন বেন স্টোকস।