পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। বুধবার দুপুরে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা জাদুকাটা নদীর পানি দুপুর ১২টার দিকে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক দোয়ারাবাজার, শাল্লাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা নদীর পাশের কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ তাহিরপুরের সড়কের আনোয়ারপুর এলাকায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে সুনামগঞ্জ তাহিরপুর সরাসরি যানচলাচল।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, গত কয়েক দিন ধরে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারতের মেঘালয়ের চেরা পুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬০ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর এ সময়ের মধ্যে সুনামগঞ্জে ২০০ মিলি মিটার এবং শুধু তাহিরপুরের লাউড়েরগড়ে ১৫৫ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানান, আরও তিন দিন ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনো সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে হাওর ও নদীর বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।