শাবি’তে মানববন্ধন

'পুরুষতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ধর্ষণের কারণ’

'পুরুষতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ধর্ষণের কারণ’

পুরুষতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি ধর্ষণের কারণ বলে দাবি করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারা বাতিলের দাবি জানান তারা। রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণের ঘটনার রায়ের প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এই দাবি জানান।

রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ের প্রতিবাদে শাবির গোলচত্বরে সোমবার দুপুর ১টার দিকে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে “ধর্ষণবান্ধব আইন বাতিল কর”, “বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করো”, “রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায় মানি না”, “নিপীড়নমূলক সাক্ষ্য আইন ১৫৫(৪) বাতিল কর”, “পুরুষতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চাই না” স্লোগান লেখা পোস্টার দেখা যায়।

এসময় মানববন্ধনে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহরাব সাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রোনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী লুবনা সুলতানা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী কাজল চন্দ্র দাস, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর রহমান, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাত্ত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় বিচারক যে রায় দিয়েছেন এবং অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করেছেন এটা পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের উদাহরণ। এই পুরুষতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন নারীরা। ধর্ষণ মামলায় সঠিক বিচার না হওয়ায় ধর্ষণের শিকার নারীরা একদিকে যেমন আইনের আশ্রয় নিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন, অন্যদিকে ধর্ষকরা আরও উৎসাহিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তারা।

রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলার রায়ের ঘটনা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ধর্ষণের শিকার হয়ে অভিযোগ করে আইনের ১৫৫(৪) ধারার কারণে ধর্ষকরা পার পেয়ে যাচ্ছে। আমরা এ বিচার মানি না। আইনের এই ধারা বাতিল চায় বলে দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।