বন উজাড় বন্ধের ঘোষণায় একাত্মতা প্রকাশ না করায় উদ্বেগ টিআইবির

বন উজাড় বন্ধের ঘোষণায় একাত্মতা প্রকাশ না করায় উদ্বেগ টিআইবির

বন উজাড় বন্ধে আন্তর্জাতিক ঘোষণার সঙ্গে বাংলাদেশ একাত্মতা প্রকাশ না করায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি অবিলম্বে এই ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি বন ধ্বংস বন্ধ করা এবং বন রক্ষা ও পুনরুদ্ধারে সরকারকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ ২৬) চলার মধ্যে গত সোমবার চলতি দশকের মধ্যে বিশ্বে বন উজাড়করণ বন্ধের বিষয়ে এক সমঝোতার কথা ঘোষণা করা হয়। কপ ২৬ প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে জানানো হয়, যে ১১৪টি দেশের নেতারা বন উজাড় রোধে চুক্তিতে সই করেছেন, সেই তালিকায় নেই বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে আজ বুধবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গ্লাসগো সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে বাংলাদেশের একাত্মতা প্রকাশ না করা চূড়ান্ত হতাশাজনক। ব্রাজিলসহ আফ্রিকার বহু দেশ এ ঘোষণায় যুক্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এতে সাড়া না দেওয়া অবিশ্বাস্য।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের বনভূমিগুলো অস্তিত্বসংকটে পড়লে বননির্ভর ১৯ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকাসহ পুরো দেশই হুমকির মুখে পড়বে। পরিবেশবাদীদের ক্রমাগত উদ্বেগ এবং স্থানীয় জনগণের তীব্র আপত্তি ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও সরকার পরিবেশগতভাবে বিপন্ন এলাকায় নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। অথচ এই প্রকল্পগুলোর কারণে পরিবেশের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বন ধ্বংস আরও বৃদ্ধি পাবে।

টিআইবি প্রত্যাশা করে, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় ও দখল বন্ধ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বন খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ তৎপর হবে।