বাজে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের আক্ষেপের হার

বাজে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের আক্ষেপের হার

আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। বোলারদের বাজে বোলিংয়ের পাশাপাশি ক্যাচ মিসে ম্যাচ হেরেছে টাইগাররা।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে ১৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ৫ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্য স্পর্শ করে শ্রীলংকা।

লংকানদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুশল পেরেরা ও পাথুম নিশাংকা। প্রথম ওভারেই পেরেরাকে বোল্ড করেন এ ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাওয়া নাসুম আহমেদ। লংকান ওপেনার ফেরেন ১ রানে।

শুরুতেই উইকেট হারানোর পর বড় জুটি গড়েন পাথুম নিশাংকা ও চারিথ আসালাঙ্কা। দুজনে মিলে ধীরে ধীরে ম্যাচ নিজেদের হাতে নিয়ে নিচ্ছিলেন। এমন সময় জোড়া আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান।

প্রথমে ২৪ রান করা নিশাংকাকে বোল্ড করেন সাকিব। একই ওভারে রানের খাতা খোলার আগে ফেরান আভিষ্কা ফার্নান্দোকে। পরের ওভারে বিপদজনক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন। 

বাংলাদেশের জন্য ম্যাচের সুখস্মৃতি এতটুকুই। এরপর আসালাঙ্কা ও ভানুকা রাজাপাকশে মিলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। মাঝে অবশ্য দুটি ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু দুটোর কোনোটাই তালুবন্দী করতে পারেননি লিটন দাস।

পঞ্চম উইকেট হিসেবে যখন ৫৩ রান করা রাজাপাকশে ফেরেন, তখন জয় থেকে মাত্র ৭ রান দূরে ছিল শ্রীলংকা। আসালাঙ্কা ৮০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলংকা অধিনায়ক দাসুন শানাকা। বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও নাইম শেখ। দুজনের ব্যাটে শুরুটা দারুণ হয় টাইগারদের। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪০ রান।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে লাহিরু কুমারাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন লিটন। এর আগে ১৬ বলে ১৬ রান করেন তিনি। হাঁকান দুটি চার। তার জায়গায় নাম সাকিব আল হাসান এদিন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। করুনারত্নের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ১০ রান। 

অন্যপ্রান্তে দুই ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরলেও নিজের মতো করে খেলতে থাকেন নাইম। লাহিরু কুমারাকে চার হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। বিশ্বকাপের চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি পূরণ করতে তিনি খেলেন ৪৪ বল।

ফিফটির পর রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হন নাইম। করেন ৫২ বলে ৬২ রান। রান আউট হওয়ার আগে ৬ বলে ৭ রান করেন আফিফ হোসেন। এর আগে ৩২ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন মুশফিকুর রহিম।

শেষ পর্যন্ত ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। অপরপ্রান্তে ১০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শ্রীলংকার হয়ে একটি করে উইকেট নেন চামিকা করুনারত্নে, বিনুরা ফার্নান্ডো ও লাহিরু কুমারা।