বালাগঞ্জে পাশবিক নির্যাতনের শিকার ৩ বছরের শিশু

বালাগঞ্জে পাশবিক নির্যাতনের শিকার ৩ বছরের শিশু

বালাগঞ্জ উপজেলার বালাগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর মজলিশপুর গ্রামে ৩ বছরের এক কন্যা শিশু পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় একই গ্রামের ইলাছ মিয়ার পালক পুত্র জাইদুল মিয়া (১৯) কে আটক করা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার কন্যা শিশুর পিতা বাদী হয়ে ৭ জুলাই রাতে বালাগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে ৮ জুলাই অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। মামলা নং-৩। বালাগঞ্জ থানার পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে- ৭ জুলাই বেলা ১টার দিকে শিশুটি একা ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। তার মা ঘরের বাহিরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। শিশুটির অন্যান্য ভাই-বোনেরা ঘরের বাহিরে খেলাধুলা করছিল। এই সুযোগে লম্পট জাইদুল ঘরে ঢুকে শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতন করে। শিশুটির কান্না শুনে তার মা ও পরিবারের লোকজন ঘরে যান। এসময় জাইদুল ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুত শিশুটিকে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সেখান থেকে তাকে সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

বালাগঞ্জ থানার ওসি রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন জাইদুলকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮জুলাই তাকে সিলেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন- ২০০৪ সালে ইলাছ মিয়া জাইদুলকে পালক এনেছিলেন। জাইদুলের পালক পিতা-মাতার কাছে তার জন্ম নিবন্ধন সনদ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তার বয়স ১৯ বছর হবে।

স্থানীয়রা জানান-জাইদুল খুবই বখাটে প্রকৃতির ছেলে। সে হোটেল শ্রমিকের কাজ করত কয়েক দিন আগে বাড়িতে এসেছে। বিগত দিনে সে এরকম আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। 

জাগোসিল/ইশা