বিভাগ পাচ্ছে কুমিল্লা-ফরিদপুর, নাম মেঘনা-পদ্মা

বিভাগ পাচ্ছে কুমিল্লা-ফরিদপুর, নাম মেঘনা-পদ্মা

ফরিদপুর এবং কুমিল্লাকে দুটি প্রধান নদী পদ্মা এবং মেঘনার নামে বিভাগ করতে চান বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি দুটি নদীর নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি- একটি পদ্মার নামে এবং অন্যটি মেঘনার নামে।’

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের ‘তোমার আমার ঠিকানা/পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’ স্লোগানের আদলে নদীর নামে হবে এই বিভাগ দুটির নাম। সে ক্ষেত্রে ফরিদপুর বিভাগের নাম হবে ‘পদ্মা’ আর ‘মেঘনা’ হবে কুমিল্লা বিভাগের নাম।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে কুমিল্লাকে বিভাগ হিসেবে ঘোষণার দাবি রাখেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তার দাবির সঙ্গে সহমত জানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলার সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরাও।

তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভাগের ব্যাপারে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি দুটি বিভাগ বানাব দুটি নদীর নামে। একটি পদ্মা, একটি মেঘনা। এই দুই নামে দুটি বিভাগ করতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কুমিল্লা নামে দেব না। ওই কুমিল্লা নামের সঙ্গে মোশতাকের নাম জড়িত। সে জন্য আমি দেব না। ওই কুমিল্লা নাম নিলেই তো মোশতাকের কথা মনে ওঠে।’

এবার বাহার বলেন, ‘কোনো কুলাঙ্গারের নামে দেশের পরিচয় হয় না আপা। বাংলাদেশের পরিচয় বঙ্গবন্ধুর ওপর, মুনায়েম খানের ওপর না। বঙ্গবন্ধুকেই চেনে সারা বিশ্ব। বাংলাদেশ চিনত না। বলত, শেখ মুজিবের দেশ।’

এ অবস্থায় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা বাহারকে থামিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সরকারপ্রধান বলেন, ‘তাহলে তুমি বলো, কুমিল্লা নাম হবে কেন? চাঁদপুর বলে আমার নাম হবে, নোয়াখালী বলবে আমাদের নাম…নোয়াখালী সব থেকে পুরনো একটা… কুমিল্লা তো ত্রিপুরার একটা ভগ্নাংশ।’

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ‘আমি ফরিদপুর বিভাগ করব পদ্মা নামে। ফরিদপুর নামও দিচ্ছি না। কুমিল্লা বিভাগ হবে মেঘনা নামে। কারণ ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা/ তোমার আমার ঠিকানা’ এই স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ করেছে, বিজয় অর্জন করেছে।’

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী পদ্মা ও মেঘনা নামে দুটি বিভাগ ঘোষণা হলে দেশে মোট বিভাগ হবে ১০টি। দেশের সবশেষ বিভাগ হয় ময়মনসিংহ, ২০১৫ সালে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নতুন অফিস ভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।