ভূমিকম্পে রাজা জিসি স্কুল ভবনে ফাটল

ভূমিকম্পে রাজা জিসি স্কুল ভবনে ফাটল

ভূমিকম্পে সিলেট নগরের রাজা গিরিশচন্দ্র (জিসি) স্কুল ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় সিলেটে দুই দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর নগরের বন্দরবাজার এলাকার ওই স্কুল ভবনে ফাটল দেখতে পান স্থানীয়রা। এতে আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়।

সোমবার (৭ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ২৭ ও ৬টা ২৯ মিনিটে দুই দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিলেটে। রিখটার স্কেলে ৩.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ রাজা জিসি উচ্চ বিদ্যালয়। শতবর্ষি এই বিদ্যালয়ে ১৮৮৬ সালে নির্মাণ করেন প্রখ্যাত দানশীল ও শিক্ষানুরাগী রাজা গিরিশ চন্দ্র।

সোমবারের সন্ধ্যার ভূমিকম্পের পর ওই বিদ্যালয়ের  ‘বদরউদ্দিন কামরান ভবন’-এ ফাটল দেখা দেয়। এই ভবনটি সিলেট সিটি করেপারেশনের সাবেক মেয়র প্রঢয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নামে নির্মিত। ২০০৬ সালে এই ভবন নির্মিত হয়। ২০১৭ সালের দিকে ভবনের দ্বিতীয় তলার কাজ সম্পন্ন হয়।

সোমবার রাতে সরেজমিনে গয়ে দেখা যায়, ওই ভবনের বিভিন্ন কক্ষের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। ভবন কিছুটা হেলেও পড়েছে।

রাজা জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুমিন বলেন, ভূমিকম্পের পড় স্কুলের আয়ার কাছ থেকে ফাটলের খবর পেয় আমি এখানে আসি। আসার পর বিভিন্ন ভবনে ফাটল দেখতে পাই। ভবনটি কিছুটা হেলেও পড়েছে।

বিদ্যালয় খোলার আগেই তিনি এ ভবন সংস্কারের দাবি জানান।

এরআগে গত ২৯ মে সকাল ১০টা থেকে বেলা দুইটার মধ্যে সিলেটে অন্তত পাঁচটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। পরদিন ভোরে আবার ভূমিকম্প হয়। যার সবগুলোর কেন্দ্রস্থল সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকায়।

২৯ মে ভূমিকম্পের পর থেকেই সিলেটজুড়ে ভূমিকম্প আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, বড় ধরনের ভূমিকম্পের আগে বা পরে এমন ছোট ছোট ভূকম্পন অনুভূত হয়। ফলে ভূমিকম্পের ডেঞ্জারজোন হিসেবে পরিচিত সিলেটে বড় ধরণের ভূমিকম্পের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।