মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবস পালন

মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবস পালন
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ২৬ শে মার্চ বাঙালি জাতির একটি অবিস্মরণীয় দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ পাই। কিন্তু স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস এখনো অনেকেই জানে না। 
আওয়ামী লীগ হল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করার দল। এই চেতনাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় দেশে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি। জননেত্রীর পক্ষেই সবকিছু সম্ভব। তিনি অনুষ্ঠানে যোগদানকারী মহানগর আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
শনিবার (২৬ মার্চ) বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটে তালতলাস্থ গুলশান সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনার পূর্বে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন পরবর্তী সকাল ১০ টায় শহিদ মিনারে রক্তদান কর্মসূচী পালন করা হয়। রক্তদান কর্মসূচী শুরু হয় মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ এর রক্তদানের মাধ্যমে। বিকাল পর্যন্ত এই রক্তদান কর্মসূচী চলমান থাকে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, কার্যনির্বাহী সদস্য তৌফিক বক্স লিপন, কানাডা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম জুবেরী, মহানগর মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল মালিক, ৩নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আরিফ আহমদ।
আলোচনায় ২৬শে মার্চের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন।  তিনি বলেন, ২৬ শে মার্চ বাঙালির ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য একটি দিন। প্রতিবছরই এই দিনটি সারা বাংলাদেশে উদযাপন করা হয়। মহান এই দিনটি এক দিনে আসেনি। দীর্ঘ বছরের লাঞ্চনা, বঞ্চনা ও সংগ্রামের মাধ্যমে আসে। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাত ১২ টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, From today Bangladesh is Independent. তাঁর এই বার্তাটি ইপিআরের ওয়ারল্যাসের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।  ২৬ শে মার্চ দুপুরে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ মান্নান কালোরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠান সমুহে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, জি.এম.জেড কয়েছ গাজী, ফয়জুর আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পুতুল, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মোঃ সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ,বিধান কুমার সাহা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট বেলাল উদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান,  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান , যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রদীপ পুরকায়স্থ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন রবিন,সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ , ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি ,  সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ আজম খান,  মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ,  সুদীপ দে, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, তাহমিন আহমেদ, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিঃ আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম শুপা, জুমাদিন আহমেদ, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল, সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন। মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডাঃ এম. এ আজিজ চৌধুরী, আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত।