যখনই সময় পাই, খেলা দেখি

যখনই সময় পাই, খেলা দেখি

জাগো সিলেট ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে খেলাধুলায় আরও অবস্থান তৈরি করবে। বিশ্বকাপ ফুটবল হচ্ছে, যদিও আমাদের কোনও অবস্থান নেই। এটা আসলে কষ্টই দেয়। বুধবার (২৩ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজ যখনই সময় পাই, খেলা দেখি। তখন এ কথা ভাবি, কবে আমাদের ছেলেরা বা মেয়েরা চান্স পাবে। তবে আমাদের মেয়েরা অনেক ভালো করছে, এতে সন্দেহ নেই। মেয়েরা সাফ গেমস, এশিয়ান গেমসসহ বিভিন্ন গেমসে ভালো ফুটবল-ক্রিকেট খেলছে। আমি মনে করি, আমাদের ছেলেরাও পারবে।     

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ক্রীড়া প্রশিক্ষণের জন্য শুধু ঢাকা না, ৮ বিভাগে একটি করে বিএকেএসপি করে দিচ্ছি। যে যে ইভেন্টে আমাদের ছেলেরা খেলার যোগ্য, সেই ইভেন্টগুলোতে যেন চর্চা হয়। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ একান্তভাবে দরকার। কারণ স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের জামার্নি, ভারতসহ অন্যান্য দেশে পাঠিয়েছিলেন। ট্রেনিং করিয়ে এনিয়েছিলেন। আমরাও সেভাবে চাই, আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্পোটর্সের বিভিন্ন শাখায় ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া এবং খেলাধুলার জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। 

তিনি বলেন, আমাদের সুযোগ একটু সীমিত আছে, তবে চেষ্টা রয়েছে। আমরা আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দেব। আমাদের ছেলে মেয়েরা যথেষ্ট ভালো করেছে, আরও ভালো করবে। আজকে যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এই প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে আমাদের খেলোয়াড়রা বিকশিত হচ্ছে। এটা যত অব্যাহত থাকবে, ততই বিকশিত হতে থাকবে। একসময় রিফিউজি হিসেবে ছিলাম। এরপর আমরা বাংলাদেশে আসার পর থেকে এই খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিচ্ছি। আমরা খেলাধুলা করা পরিবারেরই সদস্য।

তিনি বলেন, খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতা যুবসমাজকে পথ দেখায়। যত বেশি খেলাধুলা করবে মন ও শরীর ভালো থাকবে। আর খেলাধুলায় যে প্রতিযোগিতা, তা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। মাদক ও জঙ্গিবাদে আমরা বিশ্বাস করি না। সেজন্য খেলার সুন্দর পরিবেশ করে দিয়েছি। আমি জানি, এর জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগে। সেটা করেই যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ খেলোয়ার ও আয়োজকবৃন্দ।