রাধারমণের স্মৃতি রক্ষায় হবে কমপ্লেক্স : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

রাধারমণের স্মৃতি রক্ষায় হবে কমপ্লেক্স : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি যারা সমৃদ্ধ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বৈষ্ণব কবি রাধারমণ দত্ত, মরমী কবি হাসন রাজা, বাউল সম্রাট শাহ্ আব্দুল করিম ও দূরবীন শাহ। সুনামগঞ্জ লোকসংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। এই গুণী সাধকদের সৃষ্টি ও স্মৃতিকে আরও বেশি বেশি গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় রাধারমণের স্মৃতি রক্ষার্থে তার জায়গায় রাধারমণ কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে নকশা প্রণয়ন হয়ে গেছে। আমি আশাবাদী, আগামী জুন মাসেই নতুন ঘোষণা নিয়ে আবারও আসব এবং দ্রুত রাধারমণ কমপ্লেক্সে নির্মাণ করা হবে। এছাড়া আমরা রাধারমণের বেদখলকৃত সম্পত্তি চিহ্নিত করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছি।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রাধারমণ স্মৃতি কেন্দ্র পরিদর্শন ও সুধি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

সুধী সমাবেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল আবেদীন, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, আন্তর্জাতিক রাধারমণ পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট দেবদাস চৌধুরী রঞ্জন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার প্রমুখ।

পরে প্রতিমন্ত্রীর সম্মানে স্থানীয় শিল্পীরা ধামাইল নাচ ও রাধারমণে গান পরিবেশন করেন। শেষে প্রতিমন্ত্রী বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের সমাধি ও স্মৃতি যাদুঘর পরিদর্শন করেন। তিনি সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগদান করবেন।