লন্ড্রি ব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে যা বলছে পুলিশ

লন্ড্রি ব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে যা বলছে পুলিশ

প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে ধাক্কাধাক্কি আর এতেই লন্ড্রি ব্যবসায়ীর মৃত্যু। এটি সিলেট নগরের উপশহর এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার ইফতারের সময় এ ঘটনা ঘটে।  এ সময় সেখানে আসলে কী ঘটেছিলো? এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে বিস্তারিত তথ্য।

সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আনিসুর রহমান  জানান, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার আব্দুল জলিলের নাজমুল ইসলাম মনির (২৯) আইইএলটিএস (IELTS) পড়ার সুবাধে নগরীর শাহজালাল উপশহরে আই ব্লকের তার মামার বাসায় থাকতেন। মঙ্গলবার আছরের নামাজের পরে স্থানীয় ‘রেইনবক্স অটো ড্রাই ক্লিানার্স’ নামক দোকানে কিছু কাপড় ইস্ত্রি করে নিয়ে যান। বাসায় গিয়ে দেখতে পান তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সঙ্গে নেই। পর মুহুর্তে তিনি আবার ওই লন্ড্রির দোকানে এসে মনির তার মোবাইলের কথা জিজ্ঞেস করলে দোকানের মালিক লন্ড্রি ব্যবসায়ী মো. সেলিম মিয়া (৬০) মোবাইলটি দেখেননি বলে জানান।

এসময় মনির ওই দোকানেই তার মোবাইল ফোন ফেলে রেখে গেছেন বলে দাবি করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে মনির সজোরে লন্ড্রি ব্যবসায়ী সেলিম মিয়াকে ধাক্কা দেন। এতে সেলিম মিয়া পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, সেলিম মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার নিখলি উপজেলায়। তিনি নগরীর সাদাটিকর এলাকার আলাল মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থেকে এই লন্ড্রি ব্যবসা পরিচালনা করতেন। সেলিম মিয়া হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন।

এদিকে, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত মনিরকে আটক করে শাহপরাণ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আর সেলিম মিয়ার লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
 
ওসি বলেন, ময়না তদন্তের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আর সেলিম মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।