শাবিতে শান্তি ফেরানোর নেপথ্যের একজন নাদেল

শাবিতে শান্তি ফেরানোর নেপথ্যের একজন নাদেল
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল

জুমাদিন আহমেদ || হঠাৎ করেই যেন অশান্ত হয়ে পড়েছিলো পূণ্যভূমি খ্যাত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। একটি ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করা আন্দোলনের প্রতিটি ধাপই দেখেছে দেশবাসী। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি এই টানা ১৪ দিন পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখন অনেকটাই শান্ত।

সরকারের উচ্চমহল আর ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের অবদান সবার চোখে চোখে। এর বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে যার ভূমিকা কিছুতেই ভুলার নয় সেই ব্যক্তি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, এই শাহজালালের মাটির  গর্বিত সন্তান, আমাদের ভাই। 

ঢাকা থেকে ফিরে প্রথমেই ছুটে যান পুলিশদ্বারা আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে।সাথে ছিলাম আমি,মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ভাই, যুগ্ন সম্পাদক দাদা বিধান কুমার সাহা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক ভাই,কাউন্সিলর ইলিয়াস ভাই, রঞ্জন, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ।

যখন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয় তখনই ক্যাম্পাসে ছুটে যান তিনি। শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।

লেখকের ছবি

যখন শিক্ষার্থীরা অনশনে গেলো, কিছু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো, তখন সংকট ঘনীভূত হচ্ছিল। সাথে সাথে নাদেল ভাইয়ের নির্দেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়  সহ সভাপতি ডা. অশিম ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডা. নাজমুল স্বেচ্চাসেবী মেডিকেল টিম গঠন করে শাবিতে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করে।  আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির সঙ্গে তাঁর নিজ মুঠোফোনে আলাপ করান। শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনরতদের কথা শুনেন।

শাবিতে শান্তি ফেরাতে যেমন ক্যামেরার সামনে ছিলেন শফিউল আলম নাদেল ঠিক ক্যামেরার বাইরে থেকেও কাজ করেছেন। ড. জাফর ইকবালকে ক্যাস্পাসে পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়ার জননেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্তি ছিলেন।

সিলেটের অনেক রাজনীতিবিদই যখন অনেকটা চুপ ছিলেন তখন এই নাদেলই শিক্ষার্থী আর সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় আলাপ আলোচনা চালিয়ে গেছেন আর উনার সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করে গেছেন আমাদের অধ্যাপক জাকির ভাই,বিধান সাহা,আশফাক ভাই আর আমরা কয়েকজন ছিলাম তাদের ভ্যানগার্ড হিসেবে। বার্তা একেবারেই স্পষ্ট।

শাবির ঘটনায় অনেকেই একটি লাশ চেয়েছিল। কিন্তু তা হতে দেননি ক্লিন ইমেজের এই রাজনীতিবিদ।সকল ক্ষেত্রে সিলেট বাসির মুকুট হয়ে থাকুন প্রিয় নাদেল ভাই।

দুঃসময় কেটে শাবি ফিরুক তার আপন মহিমায় এই কামনা।

লেখক
জুমাদিন আহমেদ
সদস্য, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ
[ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]