শাল্লায় পুলিশের উপর হামলা, যুবলীগ নেতাসহ আটক ৩

শাল্লায় পুলিশের উপর হামলা, যুবলীগ নেতাসহ আটক ৩

সুনামগঞ্জের শাল্লায় পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) শাহ আলীর উপর একদল সন্ত্রাসী হামলা করে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় শাহীদ আলী মাঠের রাস্তায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে আহত শাহ আলীকে উদ্ধার করে  স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে অভিযান চালিয়ে রাতেই শাল্লা থানার পুলিশ আটক করে।

আটককৃতরা হলেন, নাইন্দা গ্রামের অনিল বরণ চৌধুরীর ছেলে যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু (৩৮), ঘুঙ্গিয়ারগাও গ্রামের নারু গোপাল রায়ের ছেলে রতন রায় (২৮) ও বাহাড়া গ্রামের মিষ্টলাল দাসের ছেলে সেন্টু দাস (২৩)। 

এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে শাল্লা থানায় তিনটি মামলা দায়ের করেন। এই তিনটি মামলায় তিন আসামীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুর আলম নিশ্চিত করেন।  

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, পুলিশের উপপরিদর্শক( এসআই) শাহ আলী থানা থেকে নিজ বাসা ডুমরা যাওয়ার পথে শাহীদ আলী মাঠের পাশে যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরীর নেতৃত্বে ৭/৮ জন লোক হামলা চালায়। এক পর্যায়ে শাহ আলীর মাথায় আঘাত লাগে। পরে মাঠিতে পরে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) শাহ আলী জানান, সোমবার ওসি স্যার অনুপস্থিত থাকায় দায়দায়িত্ব আমার উপরই ছিল। তাই থানার সকল কাজ শেষ করে সাড়ে ১২টায় আমার বাসা ডুমরা গ্রামে যাওয়ার পথে শাহীদ আলী মাঠের রাস্তায় সংঘবদ্ধভাবে অপুসহ কয়েকজন হামলা চালায়। আমাকে বিভিন্নভাবে মারধর করে। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলে আমি মাঠিতে লুটে পড়ি। পরে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে।

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুর আলম জানান, এটা ছিল পুর্বপরিকল্পিত। তাই রাতের আঁধারে এসআই শাহ আলীর উপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্র ছিল। তাই মাথায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এই বিষয়ে শাল্লা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করা হয় এবং এই মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন গ্রেফতারকৃতদের সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।