সালমান শাহ হত্যা মামলা, চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি

সালমান শাহ হত্যা মামলা, চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি

চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণের ওপর নারাজি দিয়েছেন আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ। একইসঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরীর জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দিবেন বলে জানান। আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বিষয়টি জানিয়েছেন।

এদিন ৩১ আগস্ট মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। মামলার বাদী সালমান শাহের মা প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেবেন বলে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। এরপর আদালত শেষ বারের মতো সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৩১ অক্টোবর নতুন এ দিন ধার্য করেন।

রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় প্রথমে এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন জানান তিনি। এই অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। পরে ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।

তবে সিআইডির এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সালমানের পিতা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত।

দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। এরপর পিবিআই তদন্ত করেছে। সর্বশেষ গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ৬০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি জমা দেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।