সিলেট বিভাগে বুস্টারের আওতায় ১৬ হাজার মানুষ

সিলেট বিভাগে বুস্টারের আওতায় ১৬ হাজার মানুষ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের আপাতত এই বুস্টার ডোজ প্রদান করা হচ্ছে। এখন অবধি সিলেট বিভাগে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন।

জানা গেছে, সিলেট মহানগরী এলাকায় গেল ৩০ ডিসেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরু হয়। পরে এ কার্যক্রম শুরু হয় বিভাগের চার জেলায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগে প্রায় ১৬ হাজার মানুষকে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়েছে। এ সংখ্যা এখন বাড়তেই থাকবে। কেননা প্রতিদিনেই বুস্টার ডোজ প্রদান করা হচ্ছে।

বুস্টার ডোজ গ্রহণকারীদের মধ্যে সিলেট জেলা ও মহানগরের প্রায় আড়াই হাজার জন রয়েছেন।

সবচেয়ে বেশি বুস্টার ডোজ নিয়েছেন মৌলভীবাজারের মানুষ। এ জেলায় সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
এ ছাড়া সুনামগঞ্জে প্রায় আড়াই হাজার ও হবিগঞ্জে প্রায় দুই হাজার মানুষকে বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, শুধু মহানগর বা জেলার লোকজনই নয়, উপজেলা পর্যায়েও শিগগির বুস্টার ডোজ শুরু হবে। সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে, শুরু থেকে বুস্টার ডোজ হিসেবে সিলেটে ফাইজার কোম্পানির ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছিল। তবে আজ থেকে প্রদান করা হবে মডার্নার ভ্যাকসিন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটি এখন থেকে বুস্টার ডোজে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্নার ভ্যাকসিন দিতে নির্দেশ দিয়েছে। মূলত ফাইজারের ভ্যাকসিন স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের (১২-১৭ বছর বয়সী) প্রদানের জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে।