সিলেট-৩ আসনে ইভিএমে ভোটের পরিকল্পনা

সিলেট-৩ আসনে ইভিএমে ভোটের পরিকল্পনা

সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ একাংশ) আসনসহ জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া চারটি আসনেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সিলেট-৩ ছাড়া বাকি আসনগুলো হচ্ছে- ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ ও লক্ষ্মীপুর-২। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণে দেশের সব নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ থাকায় এসব আসনে কবে নাগাদ ভোট হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করায় দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।

এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা সংসদ সদস্য মো. আসলামুল হকের মৃত্যুতে ঢাকা-১৪ আসনটি শূন্য হয়। কুমিল্লা-৫ আসনটি শূন্য হয় আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু মৃত্যুতে। অন্যদিকে কুয়েতের আদলাতে দণ্ডিত হওয়ার কারণে স্বতন্ত্র সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণে কমিশন দেশের সকল নির্বাচনের ওপর স্থাগিতাদেশ দেয়ায় মাহমুদ উস সামাদের সিলেট-৩ আসনের নির্বাচন সংবিধান নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে তার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্য ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ ৮ জুনের মধ্যে ভোটটি না হয়ে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করবে সংস্থাটি।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার বলেন, জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে, আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। এক্ষেত্রে সিলেট-৩ আসনটি শূন্য হয় গত ১১ মার্চ। অর্থাৎ সংবিধান অনুযায়ী, ৮ জুনের মধ্যে ভোট করার বিধান রয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারিকে 'দ্বৈব দুর্বিপাক' দেখিয়ে এ নির্বাচনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আরো ৯০ দিন সময় নিলেন, যে এখতিয়ার সংবিধানেই দেওয়া আছে। এক্ষেত্রে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করা যাবে।

গত ১১ মার্চ মাহমুদ সামাদ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নবম ও দশম সংসদেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান এ বিষয়ে বলেন, জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া চারটি আসনেই ইভিএমে ভোট হতে পারে। লক্ষ্মীপুর-২ আসনে এই যন্ত্রে ভোট করার সিদ্ধান্ত তো আগেই নেওয়া ছিল। এখন বাকিগুলো কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হবে।

তিনি বলেন, এখন প্রায় সব নির্বাচনেই ইভিএমের ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই সামনের নির্বাচনগুলোতেও ইভিএম বেশি হারে ব্যবহার করা হবে।

কমিশন সূত্র জানান, নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য চলতি বছর ৩৫ হাজার ইভিএম মেশিন কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে ইসির কাছে সোয়া লাখের মতো ভোটযন্ত্রটি আছে।