সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন ৪ সেপ্টেম্বর

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন ৪ সেপ্টেম্বর

করোনা সংক্রমণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশের উচ্চ আদালতের রায়ে স্থগিত সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ওই মাসের ৪ তারিখে ভোট করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগস্ট মাসে তো ভোট হবেই না, এমনকি ওই মাসে ভোটের তারিখটাও ঘোষণা করা হবে না। জানা গেছে, ভোটের আগে ২/৩ দিন সময় রেখে সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে ওই মাসের ৪ তারিখ ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হবে। অবশ্য ওইদিন সম্ভব না হলে ৫ সেপ্টেম্বর ভোটের দিন নির্ধারণ করা হতে পারে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ভোটগ্রহণের ১৮০ দিনের মেয়াদ আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সোমবার শেষ হবে। কমিশনকে এ সময়ের মধ্যে ভোট করে আনুষ্ঠানিক ফলাফল (গেজেট প্রকাশ) করতে হবে।

প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতিতে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত গত সোমবার এক আদেশে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করে। আদালতের আদেশ পেয়ে ইসি ওইদিনই উপনির্বাচনটি স্থগিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। পূর্বঘোষিত শিডিউল অনুযায়ী ২৮ জুলাইয়ে এ আসনের উপনির্বাচনের কথা ছিল।

তবে আদালতের আদেশ অনুযায়ী ৫ আগস্টের পরে যেকোনও দিন ভোট করার সুযোগ থাকলেও শোকের মাসের বিষয়টি বিবেচনা করে তারা সেপ্টেম্বরেই ভোট করতে যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, কমিশন আগে থেকেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী শোকের মাসে কোনও নির্বাচন করবে না। ফলে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে হচ্ছে।

তিনি বলেন, আগস্ট মাসে সব ধরনের নির্বাচনি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ফলে নির্বাচনের তারিখটিও এ সময় ঘোষণা করা হবে না। হাতে দুই-তিনদিন সময় রেখে সেপ্টেম্বরেই ভোটের তারিখ জানানো হবে। এক্ষেত্রে ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বা তার পরের দিন ভোট হতে পারে। কারণ, আমাদের সম্ভবত সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখের মধ্যে ভোটের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ সামাদ চৌধুরী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা যান। তিনি নবম ও দশম সংসদেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংবিধান অনুযায়ী গত ৮ জুন এ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে এ আসনের উপনির্বাচন পরবর্তী ৯০ দিনে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত জানান। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ আসনের উপনির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি শফি আহমেদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করছে।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন