সিলেটে কাগজে-কলমে ৪১ সরকারী অ্যাম্বুলেন্স, সচল আছে কতটি?

সিলেটে কাগজে-কলমে ৪১ সরকারী অ্যাম্বুলেন্স, সচল  আছে কতটি?

স্বাস্থ্যসেবার জন্য তৃণমূলের মানুষের ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলা পর্যায়ে সরকারি চিকিৎসার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। শুধু চিকিৎসা নয়, উপজেলার বাসিন্দাদের রোগ ও রোগী ব্যবস্থাপনায়ও ভূমিকা রাখে এসব প্রতিষ্ঠান। সংকটাপন্ন রোগীদের পরিবহনের জন্য সিলেট বিভাগের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা ৪১টি। তবে এ হিসাব শুধু কাগজে-কলমে। বাস্তবতা হচ্ছে অর্ধেকের চেয়ে বেশী অ্যাম্বুলেন্সই অচল। তাই রোগীদের নির্ভর করতে হচ্ছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কিংবা অন্য যানবাহনের ওপর। এ অচলাবস্থার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সিলেট বিভাগের প্রাশাসনিক ৩৮টি উপজেলার মধ্যে ৩৬ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ৪১টি। এর মধ্যে মেরামত যোগ্য অচল ২৪টি আর মেরামত অযোগ্য অচল ১৫টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা (ইউএইচসি) ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখা থেকে এই তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে ৩৬ উপজেলা হাসপাতালে ৪১টি সচল অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও মেরামত যোগ্য অচল ২৪টি আর মেরামত অযোগ্য অচল ১৫টি।

স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদরা বলছেন, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে তা মেরামত করে নিমিও অ্যান্ড টিসি। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যলয় নেই, পর্যাপ্ত লোকবলও নেই। এতে দীর্ঘ হয় মেরামত প্রক্রিয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ওষুধে রোগীদের আউট অব পটেক এক্সপেন্ডিচার (বাড়তি ব্যয়) সবচেয়ে বেশি। সরকারি হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা হয় না। এর সঙ্গে উপজেলা পর্যায়ের কোথাও কোথাও অ্যাম্বুলেন্স অচল থাকায় রোগীদের নিজ খরচে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যেতে হয়। যে জরুরি সরকারি সেবা স্বাভাবিকভাবে পাওয়ার কথা তা যদি বেসরকারিভাবে কিনতে হয় সেখানে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়।'

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘যেগুলো মেরামত অযোগ্য, সেগুলো হিসেবেই আসবে না। সরকারি সম্পত্তি অচল হয়ে গেলে তা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বাতিল করা হয় । আর যেগুলো মেরামত যোগ্য অচল, সেগুলোকে সচল করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সব সময়ই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ে থাকে।'

সূত্র : বণিকবার্তা