সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ ২৫ মার্কেট ১০ দিন বন্ধের নির্দেশ

সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ ২৫ মার্কেট ১০ দিন বন্ধের নির্দেশ
ফাইল ছবি

একদিনে পাঁচবার ভূমিকম্প হওয়ার ঘটনায় উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা সিলেটের ২৫ টি মার্কেট ও বহুতল ভবন ১০ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।

রোববার (৩০ মে) দুপুরে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ভবনগুলোর মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠক করে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এ নির্দেশ দেন।

নগরের ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ও ভবন চিহ্নিত করে সিলেট সিটি করপোরেশন। যার মধ্যে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন মার্কেট এবং একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে।

এর আগে, ২০১৯ সালে সার্ভে করে নগরের ২৩টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর বাইরে শনিবার (২৯ মে) ভূমিকম্পে হেলে যাওয়া আরও দুটি ভবনকে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, ২০১৯ সালে নগরীর ২৩টি বহুতল ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া শনিবার আরও দুটি ভবনকে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে এগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

যেসব ভবনগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেট, সুরমা মার্কেট, সিটি সুপার মার্কেট, জিন্দাবাজারের মিতালী ম্যানশন, দরগাগেটের হোটেল আজমীর, টিলাগড় কালাশীলের মান্নান ভিউ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশের কালেক্টরেট ভবন-৩, জেলরোডস্থ সমবায় ব্যাংক ভবন, একই এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন।

এছাড়া নগরের শেখঘাট শুভেচ্ছা-২২৬ নম্বর ভবন, যতরপুরের নবপুষ্প ২৬/এ বাসা, চৌকিদেখির ৫১/৩ সরকার ভবন, জিন্দাবাজারের রাজাম্যানশন, পুরানলেনের ৪/এ কিবরিয়া লজ, খারপাড়ার মিতালী-৭৪, মির্জাজাঙ্গাল মেঘনা এ-৩৯/২, পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাগবাড়ির একতা ৩৭৭/৭ ওয়ারিছ মঞ্জিল, একই এলাকার একতা ৩৭৭/৮ হোসেইন মঞ্জিল, একতা-৩৭৭/৯ শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, বনকলাপাড়া নূরানী-১৪, ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়ের পৌরবিপণী মার্কেট ও ধোপাদিঘীরপাড়ের পৌর শপিং সেন্টার।

এরই মধ্যে পুরানলেনের ৪/এ কিবরিয়া লজটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। তবে এটিও আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছে সিসিক।

শনিবার পাঁচ দফায় ভূমিকম্পে নগরীর পাঠানটুলা দর্জিবাড়ি মোহনা আবাসিক এলাকার বি ব্লকের দুটি ৬ তলা বাসা হেলে গেছে। দুটি ভবন একটি অপরটির দিকে অন্তত দুফুট হেলে পড়ে। খবর পেয়ে মেয়রের নেতৃত্বে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা ভবন দুটি পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ভবন দু’টির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তবে ভবন দুটির বাসিন্দারা এখনো সরে যাননি।