সিলেটে দিশেহারা ইটভাটা মালিকরা

সিলেটে দিশেহারা ইটভাটা মালিকরা

কয়লার দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সিলেটের ইটভাটার মালিকেরা। কয়লার দাম বৃদ্ধিতে তারা প্রচুর পরিমাণে লোকসানে পড়কেন বলে জানিয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছরে প্রতি টনে দ্বিগুণ মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সকল উন্নয়নে ইটের প্রয়োজন হলেও সরকার এখন পর্যন্ত শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়নি। যার কারণে তারা প্রতিটি পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইট ভাটামালিকেরা।

জানা গেছে, সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় অন্তত ২০টি ইটভাটা রয়েছে। চলতি মৌসুমে টানা দুই দিনের বর্ষণে তাদের প্রায় কোটি টাকার কাঁচা ইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছরে প্রতি টন কয়লা ৭-৮ হাজার টাকায় কিনতে পারলেও চলতি বছরে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে ১৮-২০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। ইটভাটার কয়লাগুলো ভারত, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশের বসুন্ধরা, পারটেক্স গ্রæপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করে থাকে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় কয়লার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

একটি ইটভাটার পরিচালক রিফাত বলেন, হঠাৎ করেই চলতি বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে এ দেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি টন কয়লার দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে। একদিকে চলতি মৌসুমের শুরুতে দুই দিনের টানা বর্ষণে আমরা বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। অন্যদিকে, কয়লার মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

ইট ব্যবসায়ী নিরঞ্জন পাল বলেন, বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা কোনো কুলকিনারা না পেয়ে অধিকাংশই ব্যাংকঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এক ইটভাটা মালিক জহুর উদ্দিন বলেন, কয়লার দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি হলেও আমরা ইটের দাম বৃদ্ধি করতে পারি নাই। প্রতিবছর ইটের লেবারদের দাদন হিসেবে ২০ লাখ টাকা অগ্রিম দিতে হয়। তাদের খাওয়া-দাওয়ার খরচও আমাদের বহন করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, কয়লার দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির অজুহাত দেখিয়ে ভাটায় ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রীর দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ আমরা ইটের দাম বাড়াতে পারছি না। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছি।